সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আগেই সরব হয়েছিলেন। রবিবার জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বললেন, বিচার ব্যবস্থার সবচয়ে বড় সমস্যার দিক হল মামলাগুলির দিনের পর দিন আদালতে ঝুলে থাকা। সব ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারের প্রয়োজন। বিশেষত ধর্ষণের মামলা হলে। এদিন আদালতগুলির মামলা স্থগিত করার সংস্কৃতিতেও বদল আনার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রবিবার রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, "যখন ধর্ষণের মতো মামলায় আদালতের সিদ্ধান্ত মেলে একটি প্রজন্ম ডিঙিয়ে যাওয়ার পর, তখন সাধারণ মানুষের মনে হয় যে বিচার প্রক্রিয়ায় সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে।" তিনি যোগ করেন, "গ্রামের মানুষেরা বিচার বিভাগকে 'ঐশ্বরিক' মনে করে, যেহেতু সেখানে তাঁরা ন্যায়বিচার পান। বলা হয়, ভগবানের বিচার দেরিতে মেলে, কিন্তু সেখানে অবিচার করা হয় না কখনও। তথাপি কত দেরি হতে পারে? আমাদের এই বিষয়ে ভাবতে হবে।" রীতিমতো কটাক্ষের সুরে রাষ্ট্রপতি বলেন, "যখন কেউ ন্যায়বিচার পান, তখন হয়তো তাঁর মুখের হাসিটাই হারিয়ে গিয়েছে, হয়তো বা তিনি বেঁচেই নেই। আমাদের এই বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত।"
[আরও পড়ুন: ‘১০ হাজার দিলে বাঁচাব’, ডুবুরির সঙ্গে দরদামের মাঝেই গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্তার]
প্রসঙ্গত, এর আগে আর জি কর কাণ্ডে সরব হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। সরাসরি কোনও নাম না করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ (যথেষ্ট হয়েছে), মহিলাদের উপর অত্যাচার আর বরদাস্ত নয়।” তরুণী চিকিৎসকের উপর নির্যাতনের ঘটনাকে “ভয়ংকর এবং হতাশাজনক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মহিলাদের প্রতি সামগ্রিক বিদ্বেষই তাঁদের উপর নৃশংস অত্যাচার কিংবা হত্যার কারণ, মনে করেন রাষ্ট্রপতি।