নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্বে দু’জন। আর ‘বন্ধু’ দলের সঙ্গে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে দায়িত্ব দেওয়া হল ১২ জন হেভিওয়েট নেতাকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election 2022) কৌশল ঠিক করতে রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বসে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে এক একজনের কাঁধে এক একটি দলের শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবারের মধ্যে নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মুম্বইয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে বিজেপি বিরোধী শিবির। বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাজির থাকার কথা থাকলেও বিশেষ জরুরি কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি থাকতে পারবেন না। তাঁর জায়গায় বৈঠকে যোগ দেবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে আগেই ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব নেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা ও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব-সহ অবিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজনাথ। কিন্তু বিরোধী নেতাদের মনোভাব আঁচ করে বেশিদূর এগোননি। বদলে জয় নিশ্চিত করতে নিজেদের মতো করে ‘টিম’ গোছানো শুরু করে পদ্মশিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘বৃষ্টি বিপর্যস্তদের সাহায্য করাই অগ্রাধিকার’, ত্রিপুরায় অভিষেকের প্রচারের আগে বললেন কুণাল ঘোষ]
নাড্ডা ও অমিত শাহর (Amit Shah) নেতৃত্বে ১৪ জনের সমন্বয় দল গঠন করা হয়। বন্ধুস্থানীয় দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতেই গঠন করা হয় সমন্বয় দল। এদিন ছিল সেই দলের প্রথম বৈঠক। নাড্ডা, অমিত শাহ ছাড়াও ছিলেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, জি কিষেন রেড্ডি, অশ্বিনী বৈষ্ণব, সর্বানন্দ সোনওয়াল-সহ দলের শীর্ষনেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, জেডিইউ, বিজু জনতা দল, বিএসপি, শিরোমণি অকালি দল, এআইডিএমকে, টিআরএসের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলবেন শীর্ষনেতৃত্ব।
বিশেষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মান ভাঙাতে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন অমিত শাহ (Amit Shah) ও রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিহার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে তাতে নীতীশ কী করবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় শাহরা। এছাড়াও সর্বভারতীয় সভাপতি বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচিত নির্দল ছাড়াও ছোট ছোট দলের বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।