সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গবাসীর অপেক্ষার অবাসন। ছয় বছর পর রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে। এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গত শুক্রবার উপত্যকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। আগামী ১৬ অক্টোবর বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসানে সেই পথ প্রশস্ত হল।
দীর্ঘ এক দশক পর নির্বাচন হয়েছে কাশ্মীরে। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের জোট। এই আবহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯-এর ৭৩ ধারা এবং ২৩৯ এবং ২৩৯এ ধারা অনুসারে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হল।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনে পিডিপিকে সমর্থন দিয়েছিল বিজেপি। তবে সেই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গেরুয়া শিবির সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল। এর জেরে সরকার পড়ে যায়। এর পর ২০১৮ সালের ১৯ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় উপত্যকায়। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। এইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভাগ করা হয়। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। ১০ বছর পর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ওমর আবদুল্লা। এবার ভূস্বর্গে কমবে রক্তঝরা? উত্তর দেবে সময়।