দীপালি সেন: এবছরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। ওইদিন শুধুমাত্র কলকাতা জেলা নির্বাচনকারী প্রার্থীদেরকেই ডাকা হয়েছে প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণের জন্য।
নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণার সময়েই পর্ষদ সভাপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্যামেরার নজরদারিতে হবে সকল প্রার্থীর ইন্টারভিউ। এদিন জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীর ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ফলে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ধাপ যে দীর্ঘ সময় ধরে চলবে সেই সম্পর্কেও অবগত করা হয়েছে প্রার্থীদের। পূর্বঘোষণা অনুযায়ীই আর জেলায় জেলায় নয়। কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদনকারী প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২১ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছিল, প্রায় ৩৪ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০ জন আবেদনকারী প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণের জন্য। তাঁরা প্রত্যেকেই নিয়োগের জন্য কলকাতা জেলা নির্বাচন করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, নয়া কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল]
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সকল আবেদনকারী প্রার্থীর ইন্টারভিউ হবে। যা শুরু হয়ে যাচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর থেকে। পর্যায়ক্রমে একটি জেলা শেষ হলে আরেকটি জেলার প্রার্থীদের ডাকা হবে। পর্ষদ সভাপতির কথায়, ‘‘ইন্টারভিউ শুরু করে দিচ্ছি। ইন্টারভিউয়ের দিনই নথি যাচাই হবে। অনেক নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে স্বচ্ছতার স্বার্থে। নথি যাচাই অনলাইনেই হয়ে যাবে। ভুল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করে দেওয়া হবে। ইন্টারভিউয়ের ভিডিওগ্রাফি হবে। অস্বচ্ছতার কোনও জায়গাই নেই।’’ তবে, চলতি বছরই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেও, এবছর নিয়োগপত্র হাতে তুলে দিতে না পারায় আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে পর্ষদ সভাপতির গলায়।
ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের কী কী নথি নিয়ে আসতে হবে, সেই তালিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, কোনও প্রার্থী কোনওদিক থেকে অযোগ্য প্রমাণিত হলে, তাঁকে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক প্রার্থীকে ই-মেলে তাঁদের ইন্টারভিউ লেটার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাতেই ইন্টারভিউয়ের জায়গা ও সময়ের উল্লেখ থাকবে। প্রার্থীরা চাইলে ওয়েবসাইট থেকেই ইন্টারভিউয়ের কল লেটার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এছাড়া, হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট-এ ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর আলাদাভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। এই রকমেরই সাধারণের থেকে ব্যতিক্রমী নানা ক্ষেত্রের প্রার্থীদের ইন্টারভিউ কীভাবে হবে তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রথম পর্যায়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা। একইসঙ্গে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিয়োগের আইনের সমস্ত বিধি মেনে মূল্যায়নের পরেই ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্টেট ওয়াইড মেরিট লিস্ট তথা মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।