রাহুল রায়: নিছক দুর্ঘটনা নাকি খুন? না, চাকরি না পাওয়ার কারণে মানসিক অবসাদে বাদুড়িয়ার চাকরিপ্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। শুধু বসিরহাটের রাজুই নয়। এর আগে মুর্শিদাবাদের মৃন্ময়, নদিয়ার দিব্যেন্দু সহ ৫ জনের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। যা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের (Primary TET Scam) দাবিতে এখনও আন্দোলন জারি রয়েছে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার বুকে। এরই মধ্যে এক টেট আন্দোলনকারী রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। স্বাগতা দেবনাথ নামে এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী জানান, “আর কত রাজুকে হারাতে হবে আমরা জানি না। হাই কোর্টে মামলা চলছে, কিন্তু আমরা পাশ করে বসে থাকা আন্দোলনকারীরা এখনও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেলাম না। পাশ না করেও অনেকে চাকরি করছে।” এই মৃত্যুর জন্য রাজ্যকেই দায়ী করেছেন স্বাগতা।
[আরও পড়ুন: পুজোতেই দেশে শুরু ৫জি পরিষেবা, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সূচনা হবে টেলিকম শিল্পের নয়া অধ্যায়ের]
শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ বনগাঁর ঠাকুরনগর ও চাঁদপাড়া রেলস্টেশনের মাঝবরাবর রেললাইন থেকে রাজু গাজির মৃতদেহ উদ্ধার হলেও ইতিমধ্যেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ঠাকুরনগর ও চাঁদপাড়া রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী রেললাইন থেকে তাকে উদ্ধার করেছে বনগাঁ জিআরপি পুলিশ। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
জানা গিয়েছে, রাজু ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ অর্থাৎ টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) -এ অংশ নিয়েছিল। মাত্র এক নম্বরের জন্য সে উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁকে অকৃতকার্য করা হয় বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে হাই কোর্টে। একই সঙ্গে, আন্দোলনও জারি রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। এরই মধ্যে রাজুর মৃত্যু সেই আন্দোলনকে আরও উসকে দিল বলেই মনে করছে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সদস্যরা।