সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারানো সময় কি ফেরে? না ফিরলেও কখনও কখনও ভ্রম সৃষ্টি করে প্রত্যাবর্তনের। তেমনই এক মুহূর্ত তৈরি হল বৃহস্পতিবাসরীয় সকালে। যখন সাংসদ পদে শপথ নিচ্ছিলেন কেরলের ওয়ানড় থেকে জিতে আসা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সকলের চোখই তখন নিবদ্ধ তাঁর সাদা-সোনালি রঙের কেরালা কাসুভা শাড়ির দিকে। যা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল গান্ধী পদবিধারী আর এক রাজনীতিককে। তিনি ইন্দিরা গান্ধী। অবিকল ঠাকুমার অল্পবয়সি সেই ইমেজই যেন এদিন সংসদে ফিরিয়ে আনলেন নাতনি প্রিয়াঙ্কা।
এদিন দাদা রাহুল গান্ধীর মতোই সংবিধানের ‘রেড বুক’ হাতে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করলেন প্রিয়াঙ্কা। দূর থেকে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল অবিকল ইন্দিরা। পরে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান শপথগ্রহণের সময় ঠাকুমা ইন্দিরাকে তাঁর মনে পড়ছিল কিনা। জবাবে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ''হ্যাঁ। ঠাকুমার কথা মনে পড়ছিল। তেমনই মনে পড়ছিল আমার বাবাকেও।''
বলে রাখা ভালো, কাসুভু শাড়ির অন্য তাৎপর্যও রয়েছে। কেরলের সাংস্কৃতিক ঐক্যেরও প্রতীক এই শাড়ি। ফলে শপথ গ্রহণের সময় এই শাড়ি পরে এসে প্রিয়াঙ্কা যে তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানড়ের মানুষের সঙ্গে 'আত্মীয়তা' স্থাপন করলেন তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানড় থেকে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী। সেখানে প্রিয়াঙ্কা জিতেছেন ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে। কেরলবাসীর এই সমর্থনকে সম্মান জানাতেই সম্ভবত প্রিয়াঙ্কা শপথ নিলেন কাসুভা শাড়ি পরে।
প্রিয়াঙ্কার জয়ের ফলে সংসদে একসঙ্গে প্রবেশ করছেন কংগ্রেসের ৩ গান্ধী। রাহুল গান্ধী রায়বরেলি থেকে সাংসদ হিসাবে লোকসভায় রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কাও ওয়ানড় থেকে জিতে সংসদে গেলেন। প্রথমবার ভাই-বোন একসঙ্গে লোকসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করবেন। আগেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন তাঁদের মা সোনিয়া গান্ধী।