সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে চাপ বাড়ল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার(Farooq Abdullah)। আর্থিক তছরুপ মামলায় ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুটি নতুন অভিযোগে পদক্ষেপের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি। জম্মু ও কাশ্মীর আদালতের অনুমতি পেলে ফারুকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবে কেন্দ্রের আর্থিক দুর্নীতি দমন সংস্থা।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। তবে গত ১৪ আগস্ট এজেন্সির তরফে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দেয় জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব কুমার জানান, যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের নয়া দুটি অভিযোগ তুলে ফারুকের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ইডির তরফে। দণ্ড সংহিতার দুটি ধারায় অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই আবেদনকে আদালত মান্যতা দেয়, সেক্ষেত্রে ভোটের আগে বিপাকে পড়বেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন উপত্যকায়, পাক সেনার গোলায় আহত বিএসএফ জওয়ান]
তবে নির্বাচনের ঠিক আগে ইডির এই পদক্ষেপকে পুরোপুরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করছে বিরোধীরা। এবার উপত্যকায় ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামছে কংগ্রেস, তার আগে ইডির তৎপরতা প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছর পর হতে চলা নির্বাচনে উপত্যকাবাসী বিজেপিকে 'শাস্তি' দিতে চলেছে। সেটা বুঝতে পেরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে 'পরিচিত' এজেন্সি অস্ত্র ব্যবহার করছে শাসকদল।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে, লরি খালে পড়ে মৃত ৭]
উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীরে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর মোট ৩ দফায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এবং ৪ অক্টোবর হবে ভোট গণনা। জম্মু ও কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ২৫টি আসনে জয় পায় বিজেপি। কাশ্মীরের মাটিতে সেভাবে দাপট না থাকায় এবারও বিজেপির টার্গেট ৪৩ বিধানসভা আসনের জম্মু।