স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে রাজ্যে উদয়পুরের ধাঁচে কংগ্রেসের (Congress) দু’দিনের নবসংকল্প শিবির বসেছে। তার মাঝেই উঠে এল প্রদেশ নেতৃত্বে বদলের প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, শুরু হয়ে গিয়েছে অধীর চৌধুরিকে (Adhir Ranjan Chowdhury) প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া।
শনিবারের বৈঠকে এআইসিসি নেতৃত্বের সামনে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে নানা মত প্রকাশ্যে এসেছে এদিন। এ নিয়ে দিল্লির দরবারে একাধিক দাবি, তার সমর্থনে একাধিক মত জমাও পড়েছে। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে মান্যতা দিয়েই আগামিদিনে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরিকে সরানোর প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। মূলত রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্যে প্রদেশ কংগ্রেস চালানোর অভিযোগ অধীরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। তাতে একুশের ফল সেই সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করেছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে চলার একছত্র সিদ্ধান্তের জেরে দলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অধীরকে। আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে কলকাতায় পি চিদম্বরমকে হেনস্তা। তাতেই অধীরের উপর এআইসিসি তীব্র বিরক্ত। অধীরকে সরিয়ে যাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক, তাঁর সঙ্গেই চারজন কার্যকরী সভাপতি নিয়ে একটি কমিটি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘অপরাজিত’ ছবির প্লট কি ধার করা? প্রশ্ন কুণাল ঘোষের]
রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে এই মুহূর্তে এই শিবিরের জন্য কলকাতায় রয়েছেন তামিলনাড়ুর সাংসদ চেল্লা কুমার, ওড়িশার নেতা শরৎ রাউত ও দিল্লির নেতা বি পি সিং। পঞ্চায়েত ভোটে দলের লাইন কী হবে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়। অর্থাৎ জোট হলে তা তৃণমূল না কি সিপিএম, কাদের সঙ্গে হবে তা জানতে চাওয়া হয়। জোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট না করলেও চেল্লা কুমার বলে দেন, কর্মীদের আবেগকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে নিজেদের তৈরি থাকতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে সংকল্পযাত্রা হবে। তার আগে রাজ্যজুড়ে ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এই কর্মসূচি করবে প্রদেশ কংগ্রেস।
অন্যদিকে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে সিবিআই-ইডি ডাকার প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে সোানিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীকে সিবিআই-ইডি ডাকবে। তাদের করোনা হোক বা না হোক সিবিআই-ইডি তখন খারাপ। আর যখন তৃণমূলকে হয়রান করছে তখন কংগ্রেস লাফাচ্ছে।’’ অধীরের জবাব, ‘‘এখানে তো প্রমাণ রয়েছে।’’