অর্ণব দাস, বারাসত: গণ টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় কলেজে সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলেও অভিযোগ। জখম তিনজন পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বারাসত কলেজের এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রত্যেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে দুটি কলেজের তরফেই এদিন বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির পঞ্চম সেমিস্টার পরীক্ষা চলছিল। সেইমত বারাসত কলেজেও পরীক্ষার সিট পড়েছিল অন্য কলেজের পড়ুয়াদের। বুধবার ছিল পরীক্ষার শেষদিন। এদিনই মাইক্রো বায়োলজি পরীক্ষার শেষে গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই পরীক্ষার্থীদের টোকাটুকিতে বাধা দেওয়া হলে তাঁরা কলেজের বেঞ্চ, ফ্যান, বেসিন, আলোর সুইচ-সহ অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙচুর চালাচ্ছিল। এদিন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উত্তেজনা ছাড়ায়।
[আরও পড়ুন: ‘টাকাও যাবে, জেলেও যাবে’, বেআইনি চাকরি প্রাপকদের হুঁশিয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর]
বচসা চলাকালীন কলেজের শিক্ষাকর্মীদের উপর পরীক্ষার্থীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পালটা পরীক্ষার্থীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় তিনজন পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এ প্রসঙ্গে বারাসত কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম দাসগুপ্ত বলেন, “প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে, এই দাবি তুলে পরীক্ষার্থীরা গণটোকাটুকির জন্য অধ্যাপককে ঘরের বাইরে যেতে বলে। অধ্যাপকরা সেটা না করে টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় গত কয়েকদিনে কলেজের সম্পত্তি ভাঙা হয়েছে। এদিন তিন পরিক্ষার্থীকে ভাঙচুরের ঘটনায় শনাক্ত করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে পরীক্ষার্থী পূষণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভাঙচুরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিন পরীক্ষা শেষে বেরনোর সময় কলেজের ছাত্ররা আমাদের মারধর করেছে।” যদিও কলেজের তরফে পরীক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।