ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতানেত্রীর কুরুচিকর মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় ইসলামিক বিশ্ব। যদিও বিজেপির তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দল থেকে সাসপেন্ডেড নুপূর শর্মা ও নবীন জিন্দাল। এরপরও বিতর্ক থামছে না। এবার বিষয়টি নিয়ে টুইটে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, এ ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। এটা শুধু দেশে অশান্তি ছড়াতেই উসকানি দেবে না, বিভেদ তৈরি করবে। অভিযুক্ত ২ জনকে দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি জানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করায় তাঁকে শাস্তি দিয়েছে দল। ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে ও নবীন জিন্দালকে। তবে এটুকু সাজাতেই সন্তুষ্ট নন অনেকে। বিশেষত ইসলামিক দুনিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সৌদি আরব, কাতার, ইরান তীব্র নিন্দা করে সরকারি স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ভারত সরকার অবশ্য তার জবাবও দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভবানীপুরে দম্পতি খুনের কিনারা ৩ দিনেই করল কলকাতা পুলিশ, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত]
এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন। তাঁর টুইট, ”আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়। আমি জোরালভাবে দাবি করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। একই সঙ্গে, এই ঘৃণ্য প্ররোচনা সত্ত্বেও, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”
এদিন সকালেই বরখাস্ত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নবীন জিন্দল, সাংবাদিক সাবা নকভি-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এঁদের বিরুদ্ধে।