সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল দীপাবলির আগেই যাত্রী নিয়ে ছোটা শুরু করবে মেট্রো। কিন্তু তা হয়নি। তবে চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি যাত্রী পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএসের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে মেট্রোর তরফে। তবে তা কবে আসবে সে কথা এখনও জানায়নি।
তাহলে এখন পরিস্থিতি কেমন? নিয়ম করে অবশ্য দুই লাইনেই ট্রায়াল রান চলছে এখন। মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, এবার যেহেতু সিগন্যাল পরীক্ষার এখনই দরকার নেই তাই বিশেষজ্ঞরা এই দুই লাইন দেখে যাওয়ার পর ছাড়পত্র পেতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ওয়ান লাইন ওয়ান মেট্রো সার্ভিসে এই দুই লাইনে যাত্রী পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা। একটি ট্রেনই যাতায়াত করবে দিনভর।
[আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপি আসলে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের দল, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিস্ফোরক চিঠি সায়ন্তনের]
জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। জোকা-তারাতলা সাড়ে ছ’কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই ছ’টি স্টেশন। আপাতত ঠিক আছে, ‘ওয়ান ট্রেন সার্ভিস’ শুরু হবে এই লাইনে। স্বাভাবিক গতিতে মেট্রো ছুটলে এই দূরত্ব যেতে ১৮-১৯ মিনিট মতো লাগার কথা। মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত কাজ হয়েছে। জিএম বলেছিলেন, কালীপুজোর (Kali Puja 2022) সময় পরিষেবা চালু করার কথা। সেই মতোই যাত্রী নিয়ে ছোটানোর প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে।
তবে সিআরএস ছাড়পত্র না দেওয়া অবধি তো আর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মানে রুবি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার যাত্রাপথে থাকছে পাঁচটি স্টেশন। কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, কবি সুকান্ত এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আপাতত এই রুটেও ওই একটি মেট্রোই ছোটানো হবে। তবে যাত্রী বাড়লে ভবিষ্যতে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে।