সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা ২৬ দিন ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী আন্দোলন চলছে পার্ক সার্কাসে। ওই মঞ্চেই মৃত্যু হল আন্দোলনকারী এক প্রৌঢ়ার। শনিবার রাতে আচমকাই বুকে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই আন্দোলনকারীর।
CAA-NRC বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদের নতুন পথ দেখিয়েছে দিল্লির শাহিনবাগ। রাজধানীর আন্দোলনকারীদের মতোই কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানেও অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কয়েকশো মহিলা। বিভিন্ন বয়সের মহিলারা অবস্থানে অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য একটাই, ‘CAA-NRC মানছি না, মানব না।’ একটানা ২৬ দিন ধরে পার্ক সার্কাসের ওই মঞ্চে প্রতিবাদ দেখিয়ে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। ক্লান্ত হচ্ছেন ঠিকই, তবে দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের সিদ্ধান্তে এককাট্টা তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দলেই ছিলেন শামিদা খাতুন নামে এন্টালির এক বাসিন্দা। শনিবার রাতেও মঞ্চেই ছিলেন তিনি। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন শামিদা। শুরু হয় বুকে যন্ত্রণা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন। ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে। চিকিৎসকরা জানান, রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে বছর সাতান্নর ওই মহিলার।
[আরও পড়ুন: সারা দেশের মতো বাংলাও বাজেটের সুফল পাবে, দাবি বঙ্গ বিজেপির]
পরিবার সূত্রে খবর, শামিদা অসুস্থই ছিলেন। উচ্চ রক্তচাপ এবং মধুমেহর সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নিয়মিত চিকিৎসাও চলত প্রৌঢ়ার। তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার জেরে পার্ক সার্কাসের প্রতিবাদ মঞ্চে শামিল হয়েছিলেন শামিদা। সহ আন্দোলনকারীদের দাবি, অসুস্থ শরীরে রাত জাগার ফলে প্রৌঢ়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমশই বাড়ছিল। তা সত্ত্বেও আন্দোলনের পথ থেকে সরতে রাজি হননি শামিদা।
[আরও পড়ুন: শাহিনবাগে গুলি চালানোর প্রতিবাদ, বিক্ষোভে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা]
সহ আন্দোলনকারীর মৃত্যুতে পার্ক সার্কাসের আন্দোলন মঞ্চে এখন শোকের ছায়া। সকলেই স্থির করেছেন কোনও স্লোগান ছাড়াই অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। তবে সূত্রের খবর, বেলা বাড়ার পরে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির হতে পারে।
The post পার্ক সার্কাসের CAA বিরোধী আন্দোলন মঞ্চে অঘটন, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু আন্দোলনকারীর appeared first on Sangbad Pratidin.