সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় তাঁর নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার ট্রেনি IAS পূজা খেদকারের প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হল। পূজার বিরুদ্ধে তদন্তে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে পুলিশের। জানা যাচ্ছে, পূজা নাকি ইউপিএসসিতে আলাদা আলাদা নাম ও বয়স ব্যবহার করেছিলেন! ২০২০ ও ২০২৩ সালের CAT পরীক্ষায় ভিন্ন নামে তিনি পরীক্ষা দেন।
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে লেখা একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, পূজা খেদকারের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কী হতে পারে তাও শিগগিরি জানানো হবে।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ সালে তাঁর ব্যবহৃত নাম ছিল খেদকার পূজা দিলীপরাও। বয়স লেখা ছিল ৩০। আবার ২০২৩ সালের পরীক্ষায় নাম পূজা মনোরমা দিলীপ খেদকার। বয়স ৩১। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তিন বছরে মাত্র এক বছর বয়স কী করে বাড়ল! আসলে ইউপিএসসিতে জেনারেল ক্য়াটাগরির প্রার্থী ৩২ বছর বয়সের মধ্যে ৬ বার পরীক্ষা দিতে পারেন। আবার ওবিসি প্রার্থীরা ৩৫ বছরের মধ্যে ৯ বার পরীক্ষায় বসতে পারেন। সূত্রের দাবি, পূজা মোট ১১ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ২১ জুলাই মুসলিম হবেন ২৩ হিন্দু যুবা, যোগীকে ‘চ্যালেঞ্জ’ বরেলির মৌলানার!]
পদে বহাল হওয়ার আগেই ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ভুয়ো শংসাপত্রে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ট্রেনি আইএএস পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, MBBS কোর্সে ভর্তির সময় কলেজে যে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ জমা দেন পূজা, সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ তথা স্বাভাবিকই বলা হয়েছিল। সার্টিফিকেটে বলা হয়, 'তাঁর এমন কোনও রোগের ইতিহাস নেই যা তাঁকে পেশাদার কোর্সে করতে বাধা দিতে পারে। এছাড়াও ক্লিনিকাল পরীক্ষায় প্রমাণিত যে তিনি কোর্সটি করার জন্য মেডিক্যালি উপযুক্ত।'