সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এ বছর দুর্গোৎসবে বড়সড় চ্যালেঞ্জ কোভিড (COVID-19)। সংক্রমণ এড়িয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে দশভুজার পুজোর আয়োজন করতে দশ দফা দাওয়াই দিল পুরুলিয়া (Purulia) জেলা প্রশাসন। বুধবারই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে উৎসবে মেতে ওঠার উপরে জোর দিয়েছিল। তা সামনে রেখেই পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন দশ দফা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ-সহ বিভিন্ন দপ্তর এবং বিধায়কদের নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলে বৈঠকে বসে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। সেখানে পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি পালনে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শারদীয়া, দীপাবলি, সহরায়-বাঁদনা ও ছট – এই জেলায় আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে সংক্রমণ এড়িয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের মূল স্লোগান, “মাস্ক-মাস্ক-মাস্ক”। তাই উৎসবের মরশুমে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ‘মাস্ক মুভমেন্ট’কে ‘মাস মুভমেন্টে’ চালিত করার বার্তা দিয়েছে। অর্থাৎ ঘর থেকে বাইরে বের হলেই নাক, মুখ মাস্ক দিয়ে ঢাকতে হবে। কারণ, এই জেলায় মাস্ক ব্যবহারের সচেতনতা এখনও গড়ে ওঠেনি।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল UGC, রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও]
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ রাস্তায় নেমে মানুষজনকে বোঝালেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “এই কাজ আমাদের করতেই হবে। না হলে উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ বেড়েই যাবে। এই রোগের মোকাবিলায় এই মাস্কটাই যেন বড় ‘ওষুধ’। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ মেনে পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনও রাস্তায় নেমে মাস্কের বিষয়ে মানুষজনকে সচেতন করবে। পকেটে ও থুতনিতে থাকা মাস্ক নাকে-মুখে ওঠাতে হবে।” দেখে নেওয়া যাক সেই ১০ দাওয়াই –
উৎসবের স্বাস্থ্য বিধিতে দশ দাওয়াই:
- কাপড় দোকান, মলের কর্মীদের অ্যান্টিজেন টেস্ট পর্যটন কেন্দ্রের সরকারি-বেসরকারি লজ, হোটেল, রিসর্টের কর্মচারীদেরও করোনা পরীক্ষা
- পুজো মণ্ডপে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা
- মহানবমীতে জেলা প্রশাসনের তরফে ৫০ হাজার মাস্ক ও এক লক্ষ সাবান বিলি
- ব্লক, মহকুমা, জেলায় কন্ট্রোলরুম
- ড্রোনে নজরদারি
- মাস্ক ব্যবহারে প্রচার
- উৎসবের দিনগুলিতে ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স কী করবেন, কী করবেন না – এ নিয়ে জেলা পরিষদের প্রচারপত্র
- অঞ্জলিতে বিধিনিষেধ
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল আইনজীবী নন, লাইনজীবী’, ব্যঙ্গ করে বিতর্কে জিতেন্দ্র তিওয়ারি]
আসলে, পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন কোনওভাবেই চাইছে না উৎসবের দিনগুলো বিষাদময় হয়ে যাক। তাই পুজোর কেনাকাটার সময় যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তাই শুক্রবার থেকেই জেলার সমস্ত কাপড়ের দোকান, মল, অলঙ্কারের দোকানের কর্মচারীদের অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে। সেইসঙ্গে জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের সরকারি-বেসরকারি লজ, হোটেল, রিসর্টের কর্মচারীদেরও ওই পরীক্ষা করাবে প্রশাসন।