সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পরীক্ষা না দিয়ে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ার আড়শার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দেবাশিস মাঝি। সোজা গিয়ে উঠেছিল পাড়া এলাকায় প্রেমিকার আত্মীয়ের বাড়ি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। খবর পেয়ে ৩৫ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাদের উদ্ধার করল। দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সোমবার তাদের পুরুলিয়া (Purulia) আদালতে পেশ করা হবে।
মাত্র ৩৫ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থী ও তার কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। পুরুলিয়ারই পাড়া থানার নডিহা গ্রামে ওই প্রেমিকার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উধাও হয়ে যাওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দেবাশিষ মাঝি ও তার কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ এই খবর পাওয়া মাত্রই পাড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে রবিবার রাতে তাদের উদ্ধার করে। অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকাকে (Girlfriend) আটক করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার (SP) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত চলছে।”
[আরও পড়ুন: তুষারপাতে আটকে পড়া অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করলেন জওয়ানরা, ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
গত শনিবার মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষার দিন পুরুলিয়া শহরের চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল কান্টাডি শিক্ষাসত্র হাইস্কুলের ছাত্র, পাতুয়ারা গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মাঝি। কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েই আচমকা সে হল থেকে উধাও হয়ে যায়। ওই হলে তার সিটের সামনে বেঞ্চে পড়ে ছিল অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও পরীক্ষা দেওয়ার বোর্ড। ঘটনার পরেই হুলস্থুল বেঁধে যায় পরীক্ষাকেন্দ্রে। তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন। স্কুল ক্যাম্পাসের চারদিক খুঁজে, সিসিটিভি ফুটেজ হাতড়েও ওই পরীক্ষার্থীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেবাশিসের বাবা পুরুলিয়া সদর থানায় অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা নিয়ে পালিয়েছে। তাঁর দায়ের করা অপহরণের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রবিবার রাত ন’টা নাগাদ পাড়ার নডিহা থেকে উদ্ধার করে তাদের দু’জনকে পুরুলিয়া সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। দুটি মোবাইলই ছিল সুইচড অফ (Switched off)।
[আরও পড়ুন: আসরে নেই পাত্রই! সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে যোগীরাজ্যে শয়ে শয়ে ভুয়ো গণবিবাহ!]
ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কেন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেল? তার কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা কীভাবে তাকে নিয়ে চম্পট দিল? এসব জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাদের পরিকল্পনাই বা কি ছিল সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে শোরগোল বেঁধে যায়। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ কলেজ প্রেমিকাকে দ্রুত উদ্ধার করা চ্যালেঞ্জ ছিল পুলিশের। সদর থানার টিম ওয়ার্কের সুবাদেই এই সাফল্য মিলল।