সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: হলফনামায় তারিখ বিভ্রাট। ভোটে লড়তেই পারলেন না পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী উজ্বল কুমার। হলফনামায় ভু্ল তারিখের জেরে নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন গ্রহণ করেনি। ফলে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই পুরুলিয়ার ২৪১ নম্বর জয়পুর আসনে শাসকদল তৃণমূলের কোন প্রার্থী থাকছে না। এই ঘটনায় হতাশ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সমগ্র বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে এই আসনে শাসকদল তৃণমূলের অবস্থান কী হবে? তা বুধবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।
এদিন স্ক্রুটিনিতে তৃণমূলপ্রার্থী উজ্বল কুমারের (Ujjwal Kumar) মনোনয়ন ঘিরে কার্যত দিনভর নাটক চলে। পুরুলিয়ার বাকি আসনগুলির তালিকা নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করলেও জয়পুর বিধানসভার তালিকা রাত করে আপলোড করা হয়। সেখানেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তাঁকে ‘রিজেক্টেড’ বলে দেখায়। তারপরেই হতাশা নেমে আসে জয়পুর বিধানসভা তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ জেলা নেতৃত্বের মধ্যে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা–সংস্কৃতি–তথ্য–ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু বলেন,“বিষয়টি আমি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। জয়পুরে আমাদের কী অবস্থান হবে তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।” এই বিধানসভা আসনে টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে নির্দলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেন জয়পুর ব্লক যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি দিব্যজ্যোতি সিং দেও। ফলে দল তাঁকে সমর্থন করবে কিনা তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূলের, সিবিআই তদন্ত চাইল বিজেপি]
এদিন রাতে ওই তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁকে ফোন করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি। ফোন সুইচ অফ ছিল। উত্তর মেলেনি মেসেজেরও। ঝালদা মহকুমাশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন প্রস্তাবক ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শরৎ কুমার। প্রার্থী প্রথম দফার ভোটের মনোনয়নের শেষদিন মঙ্গলবার অর্থাৎ ৯ মার্চ মনোনয়ন জমা করেন। সেই মনোনয়ন দেখে ওই দিনই নির্বাচন কমিশন তাঁকে চিঠি করে জানায় হলফনামায় ত্রুটি রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে তার সংশোধিত হলফনামা জমা করার কথা বলে কমিশন। এদিন বেলা ১১টার আগেই প্রার্থী নথিপত্র জমা করেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায় তারিখ রয়েছে ৮ মার্চ। অথচ সংশোধিত হলফনামা জমা করার জন্য কমিশন তাঁকে ৯ তারিখ চিঠি করে। এদিন জয়পুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক ওই ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা দেখে তা বাতিল করে দেন।