সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর পর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কোনও সদস্য দেশে যাননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু এবার মঙ্গোলিয়ায় গেলেন তিনি। ফলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাঁর গ্রেপ্তারির। যদিও দেখা গেল, রীতিমতো রেড কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্টকে!
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত তথা আইসিসি পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে এই পদক্ষেপ করেছিল। ইউক্রেনের শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর গত কয়েকমাস আর বিদেশ সফরে যাননি তিনি। পরে অবশ্য চিন সফরে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইসিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মঙ্গোলিয়াই তাঁর প্রথম সফর। এমনিতে সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মঙ্গোলিয়ার। তার উপরে রাশিয়ার উপরে তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই নির্ভরশীল। তাছাড়া চিনের তরফেও নাকি চাপ রয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ না করার। এহেন পরিস্থিতিতে লাল কার্পেটে পুতিনকে স্বাগত জানানো থেকে পরিষ্কার, মঙ্গোলিয়াও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে কতটা মরিয়া। জানা গিয়েছে, পুতিন ও মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ উখনার মধ্যে শক্তি, পরিবেশগত অধ্যয়ন ও দুই দেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। এদিকে মঙ্গোলিয়ার প্রশাসন পুতিনকে স্বাগত জানালেও পরে ইউক্রেনের পতাকা নিয়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারী বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। যদিও তাঁদের দ্রুত আটক করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নিয়ে মমতাকে তোপ রিজিজুর, পুরনো চিঠি শেয়ার করে খোঁচা]
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই চর্চায় রয়েছে পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তবে প্রথম থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের মত, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকলেও পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৩টি দেশের যে কোনও দেশে গেলে তাঁকে আটক করা হতেই পারে। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনও পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে সেই দেশগুলির পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনও দেশে এলে তাঁকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেপ্তার করা তাই কার্যত অসম্ভব।