সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর টানা পঞ্চমবার দেশের মসনদে বসেই নাকি চিন সফরের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন তিনি। রয়টার্স সূত্রে মিলেছে এমনই খবর। এদিকে পুতিনের এই পদক্ষেপে উদ্বেগে ভারত। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্কের জাল আরও ছড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারে চিন। ফলে গোটা বিষয়ের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে নয়াদিল্লি।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এমনই দাবি চিনের। এই বিতর্কিত প্রকল্পের ১০ বছর পূর্তিতে গত বছরের অক্টোবরে বন্ধু জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে বেজিং গিয়েছিলেন পুতিন। নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। রয়টার্স সূত্রে খবর, আগামী মে মাসে বেজিং যেতে পারেন পুতিন। প্রায় আট মাসের ব্যবধানে ফের রুশ প্রেসিডেন্টের চিন সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবেই দেখছেন কূটনীতিকরা।
মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। রণক্ষেত্রে লড়াই আরও জোরদার করতে বেজিংয়ের থেকেও সাহায্য চাইতে পারেন পুতিন। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা-বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনা প্রবাহের উপর নজর রাখছে ভারতও। মুখে চিন যাই বলুক না কেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পকে আসলে ফাঁদ বলেই ভাবেন অনেকে। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের জাল ছড়িয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। ফলে দিল্লির বন্ধু মস্কো এই প্রকল্পে কতটা বেজিংকে সাহায্য করে সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের। বলে রাখা ভালো, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়া। ফলে ভবিষ্যতে কোনও দিন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কয়েক দশকের বন্ধুকে পাশে পাবে কিনা দিল্লি উঠছে সেই প্রশ্নও।