সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিরামিড নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই অভিনব স্থাপত্যকীর্তির নেপথ্যে ঠিক কে বা কারা ছিল, এই নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। অনেকেই দাবি করেন, মানুষের মস্তিষ্ক নয়। এই নির্মাণের পিছনে রয়েছে ভিনগ্রহীদের কারবার! কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফল আপাতত সেই ধারণায় ইতি টেনেছে। দাবি করা হয়েছে, কোনও ভিনগ্রহী নয়। মানুষই তৈরি করেছে পিরামিড। আর তাও আবার 'অতি-উন্নত', ‘অতি-বুদ্ধিমান’ প্রযুক্তির মাধ্যমে। হ্যাঁ, আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও অস্তিত্ব ছিল অত্যাধুনিক মেশিন তথা যন্ত্রের। আর তা তৈরির পিছনে মাথা ছিল সেই মানুষেরই।
ঠিক কী জানা গিয়েছে অনলাইন 'জার্নাল প্লাস ওয়ানে' সদ্য প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে? আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে মিশরের সাক্কারার জোসারের বিখ্যাত স্টেপ পিরামিড। প্রায় ১৩,১৮৯ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, ৬২.৫ মিটার উচ্চ, সাড়ে চার হাজার বছরের এই পিরামিড নিয়ে বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি তৈরি করতে ব্যবহার হয়েছিল উচ্চমানের প্রযুক্তি। আরও স্পষ্ট করে বললে, ব্যবহার হয়েছিল হাউড্রলিক লিফট সিস্টেমের। এরই মাধ্যমে বড় বড় পাথরের ব্লক নিয়ে আসা হত নির্মাণস্থলে। তার পর সেগুলি ধাপে ধাপে সাজানো হত নকশা অনুযায়ী। এই হাইড্রলিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই নির্মাণের কাজে লাগানো হয়েছিল কাছের জলাশয়কেও।
ফ্রান্সের সিইও প্যালিওটেকনিক ইনস্টিটিউটের গবেষক, জেভিয়ার ল্যান্ড্রু এই কথা জানিয়েছেন। তবে শুধু এই জোসারের পিরামিড নয়, আশেপাশের আরও কিছু পিরামিড তৈরির ক্ষেত্রেও এই উন্নতমানের প্রযুক্তিরই ব্যবহার হয়েছিল। ভাবলে অবাক লাগে, হাজার হাজার বছর আগে কোন জাদুবলে অস্তিত্ত্ব ছিল অত্যাধুনিক সেই প্রযুক্তির? কিন্তু গবেষকদের দাবি, ঘটেছিল ঠিক এমনটাই। এমনকি, জোসারের পিরামিড থেকে কিছু দূরে অবস্থিত গিসার-এল-মুদির গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও একই ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির প্রয়োগ হয়েছিল।