সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৪ থেকে ২০২৪। প্রায় দুই দশকের দাম্পত্য যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনার। আছে দুই মেয়ে সারা ও জারা। সুখের এই সংসারে কি ভাঙন ধরেছে? এই প্রশ্নে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া। রটনা, কলকাতায় শুটিং করেও নাকি যিশু নিজের বাড়িতে থাকছেন না। এদিকে সোশাল মিডিয়া থেকে ‘সেনগুপ্ত’ পদবী সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। তাহলে কি এত বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে? এতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ ও পরিচালক রাজর্ষি দে।
ফাইল চিত্র
টলিউড, বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন যিশু। জাত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে চিনিয়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ সময়ই মুম্বইতে ব্যস্ত থাকেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, সেখানেই নাকি কাউকে মন দিয়ে ফেলেছেন (অভিনেত্রী নন)! আর সেই তৃতীয় ব্যক্তির জন্যই সংসারে অশান্তি। এদিকে দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। শোনা গিয়েছিল, ডিহাইড্রেশনের জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই আবার সোশাল মিডিয়ায় মন খারাপ করা পোস্ট দেন তিনি। তাতেই যেন জল্পনার আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে।
এবিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে নিজের লেখা প্রতিবেদনে যিশুর কাছের বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) জানান, এই গুঞ্জনে তাঁর বিশ্বাস নেই। কারণ খ্যাতির শিখরে ওঠার আগে থেকে তিনি যিশু ও নীলাঞ্জনাকে চেনেন। উজ্জ্বল সেনগুপ্তর ছেলে হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা কোনও সুবিধা যিশু পাননি। প্রচুর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ করে তিনি নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন। এমন মানুষ তৃতীয় কোনও ব্যক্তির জন্য বউ-মেয়েকে ছাড়তে পারেন বলে রুদ্রনীলের মনে হয় না। তবে জল্পনা যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধু হিসেবে রুদ্রনীলও সমাধানের পথ খুঁজবেন। মানুষ কাচ নয় যে ভাঙলে জোড়া লাগবে না, এমনটাই মত অভিনেতা-রাজনীতিবিদের।
এদিনে ফেসবুকে নীলাঞ্জনার মন খারাপ করা পোস্ট শেয়ার করে পরিচালক রাজর্ষি দে লেখেন, "অনেক কিছুই আজকাল শুনে আর অবাক হই না। কিন্তু কেন জানি না এইটা দেখার পর থেকে খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমি সবসময় ফিল্মি তাই 'ডিয়ার জিন্দেগি'র মতো ভাবি "হর টুটি হুই চিজ জুড়ি যা সাকতি হ্যায়।" কিন্তু জীবন যে সবসময় সিনেমা নয়, আমার একা একা এটা পড়ে মন খারাপটা আবার প্রমাণ করে দিল। সত্যি মন খারাপ হচ্ছে খুব। এই মানুষ দুজন দূর থেকে হলেও বড় কাছের ছিল আমার। আসলে ম্যাজিক আর মিরাকেল হয়, আমার জীবনেও হল।