সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরিয়ানি (Biriyani) খেয়ে কমছে পুরুষত্ব! আর সেই অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হল কোচবিহার শহরের দু’টি বিরিয়ানির দোকান। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আজব দাবি মানতে নারাজ অনেকেই। তাঁর মন্তব্য নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা।
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া চলছে দেদার ব্যবসা। তার উপর আবার খাবারের গুণগত মানও বিশেষ ভাল নয়। কোচবিহার পুরসভার ভবানীগঞ্জ বাজার লাগোয়া পাওয়ার হাউস চৌপতিতে দু’টি বিরিয়ানি দোকানের বিরুদ্ধে নাকি এমনই নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। আর সেই অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখতে ভবানীগঞ্জ বাজারে হানা দেন পুরকর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh)।
[আরও পড়ুন: চোখের অস্ত্রোপচার সেরে কালীপুজোর দিনই কলকাতায় অভিষেক, বিমানবন্দরে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়]
ওই দু’টি বিরিয়ানি দোকানের কর্মী এবং মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। এরপরই দোকান দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, “ট্রেড লাইসেন্স নেই। কর্মচারীরা বাইরে থেকে আসেন। মাঝে মাঝে তাদের বদল হয়। তারা চোর-ডাকাত কিনা জানিনা।”
এ পর্যন্ত না হয় সব ঠিকই ছিল। তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পরবর্তী দাবি নিয়ে যত বিতর্ক। তিনি বলেন, “ফুড কিংবা ট্রেড, কোনও লাইসেন্সই নেই দোকানগুলির। এসব দোকানে বিভিন্ন ধরনের মশলাযুক্ত বিরিয়ানি খেয়ে পুরুষরা পুরুষতা হারাচ্ছেন। তাই দোকান দু’টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বর্তমানে কমবেশি প্রায় সকলের প্রিয় খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিরিয়ানি। বড় রেস্তরাঁর পাশাপাশি ছোট ছোট হোটেলগুলিতেও বিক্রি হয় বিরিয়ানি। সাধ্যের মধ্যে রসনাতৃপ্তিতে অনেকেই বিরিয়ানিকে প্রথম সারিতেই রাখেন। আর সেই খাবার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এমন উদ্ভট দাবি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল। অনেকেই মুচকি হাসছেন।