সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ জনপথ। অতীতে এই বাড়িতে বসেই বহু যুদ্ধের কৌশল তৈরি হয়েছে। কীভাবে দেশ চলবে, সেই নীতি নির্ধারণ হয়েছে। এবার সেই ১০ জনপথেই সম্ভবত আগামী দিনের রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের প্রক্রিয়াটা শুরু হয়ে গেল। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী, তথা প্রাক্তন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এবং কংগ্রেসের ‘মুখ’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং তৃণমূলের ‘ভবিষ্যৎ’। জাতীয় রাজনীতিতে উদীয়মান নেতা। এই দুই পক্ষের বৈঠক দেশের বিরোধী রাজনীতিতে ছোটখাটো বিস্ফোরণের সমতুল বলা যেতেই পারে। বিশেষ করে অতীতে যেখানে রাহুল এবং অভিষেকের সুসম্পর্কের কথা বিশেষ শোনা যায় না। সূত্রের খবর, বুধবার কাকভোরে ১০ জনপথে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয় তাঁদের। ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা স্পষ্ট না হলেও, রাজ্য রাজনীতিতে আগামী দিনে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমীকরণ এই বৈঠকের পর বদলে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত মণিপুর, গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত ২, আহত ৭]
বস্তুত, অতীতে অভিষেক রাহুলের বিজেপি বিরোধিতার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। গত বছর মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে রাহুলও তৃণমূলকে বিঁধেছেন, বিজেপির ‘বি টিম’ হিসাবে। সেসব ভুলে ইন্ডিয়া জোটের ঠিক আগে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দুই নেতার এই বৈঠক বাড়তি তাৎপর্য রাখে।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা সরকারে থাকলে ওঁকে ভারতরত্ন দিতাম’, বিগ বি’র সঙ্গে দেখা করে ফের দাবি মমতার]
গান্ধী পরিবারের আগের প্রজন্মের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্নেহধন্যা ছিলেন। সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গেও বরাবরের সুসম্পর্ক মমতার। রাজনৈতিকভাবে সবসময় সমীকরণ মসৃণ না হলেও সোনিয়া-মমতার ব্যক্তিগত সখ্যে কখনও ভাঁটা পড়েনি। তবে রাহুল সম্পর্কে সে কথা বলা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক সোনিয়ার মতো ‘মধুর’ নয় বলেই শোনা যায়। কিন্তু এবার মমতার পরবর্তী প্রজন্ম অভিষেকের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে নতুন করে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার সোপান হতেই পারে। সেটা হলে জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতি, দুই ক্ষেত্রেই বড়সড় ‘বিপ্লব’ এসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।