সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পিকার পদে শপথ নেওয়ার পরেই জরুরি অবস্থার সময় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ওম বিড়লা। সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে একই ইস্যু উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। জোড়া ঘটনার পরে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। স্পিকারকে সাফ জানিয়ে দেন, সংসদে এমন মন্তব্য করাটা একেবারেই রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এমন ঘটনা এড়িয়ে যাওয়াই যেত।
সোমবার সংসদে লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এমার্জেন্সি ইস্যু উত্থাপন করেন। কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। তার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে আচমকাই শুরু হয়েছে জরুরি অবস্থা নিয়ে মন্তব্য। বুধবার স্পিকার হিসাবে বিড়লা শপথ নেওয়ার পরেই রাহুল (Rahul Gandhi) তাঁকে মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের জাগ্রত স্বর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এবার যেন সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়। ঠিক তারপরই স্পিকারের চেয়ার থেকে কংগ্রেস জমানার জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গ তুলে আনেন স্পিকার।
[আরও পড়ুন: নিট বিতর্কের মধ্যেই NTA দপ্তরে কংগ্রেস ছাত্র সংগঠনের ‘তাণ্ডব’, কার্যালয়ে তালা বিক্ষোভকারীদের]
সেই ঘটনার পরেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, অহেতুক বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলতেই পুরনো ইস্যু তুলে আনছেন স্পিকার। শেষমেশ বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন মূলতুবি করে দিতে হয়। পরের দিনই বিরোধী দলনেতা হিসাবে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। সেই সাক্ষাতে রায়বরেলির সাংসদ সাফ জানিয়ে দেন, স্পিকারের (Om Birla) এমন মন্তব্য পুরোপুরি রাজনৈতিক। এমন মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়াই যেত।
রাহুলের সঙ্গে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের তিন নেত্রী ডিম্পল যাদব, মিসা ভারতী এবং সুপ্রিয়া সুলে। তবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানান, একটি বৈঠক ছিল দুপক্ষের মধ্যে, সেখানেই এমার্জেন্সি বিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন রাহুল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ইন্দিরা আমলের ‘এমারজেন্সি’র তীব্র সমালোচনা করেন রাষ্ট্রপতি।