সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) অনুমতি দেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। কিন্তু এবার রাহুল গান্ধী-সহ (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল যোগী প্রশাসন। ইতিমধ্যেই লখনউগামী বিমানে উঠে পড়েছেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি।
প্রসঙ্গত, রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর (Lakhimpur) খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। সার্বিকভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। ওইদিন রাতেই উত্তরপ্রদেশের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে লখিমপুরের আগে সীতাপুরে পুলিশ আটকায়। সেখানকার এক গেস্ট হাউসে আটক করা হয় তাঁকে। সেখানেই অনশন শুরু করে দেন। মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, নালিশ জানিয়ে মোদিকে চিঠি ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রীর]
স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হয়েছিল, রাহুলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু লখিমপুরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ক্রমশ চাপ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপরে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ও আরও তিনজনকে লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। যদিও এর আগেই কংগ্রেস একটি চিঠিতে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার কারণেই তাঁদের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলাল যোগী সরকার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডল ও আবিররঞ্জন বিশ্বাস। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও জেলাশাসকের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৫ তৃণমূল সাংসদ। নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সান্ত্বনা দেন তাঁরা।