বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বক্তৃতায় সতর্কবার্তা! এমন পদক্ষেপ করায় ইউটিউবকে তুলোধনা করল কংগ্রেস। সংস্থাটি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘হাতের পুতুল’ বলেই সমালোচনায় মুখর হয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
ঘটনার সূত্রপাত সম্প্রতি। ভোটমুখী রাজ্য তেলেঙ্গানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দেওয়া বক্তৃতার একটি ভিডিওয় ইউটিউব ইন্ডিয়া ‘দর্শকের বিচক্ষণতা’ বিষয়ক সতর্কবার্তা দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ‘নিম্নলিখিত বিষয়বস্তুতে আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির মতো বিষয় থাকতে পারে।’
[আরও পড়ুন: ‘সোনিয়া গান্ধীর জন্যই তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হয়েছে’, রাহুলের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কেসিআরের দল]
যা নিয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে কংগ্রেস। ইউটিউবের মতো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে জয়রাম রমেশ আর এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে বেছে নিয়েছেন। সেখানে এক পোস্টে বলেছেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রকাশ করেছে যে, কীভাবে ইউটিউব-সহ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ভারতে ক্ষমতাসীনদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে এবং কীভাবে ভারতের বিরোধীদের কথা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টিও নিবন্ধে উল্লেখ করা ছিল।’
নিজের পোস্টে তিনি ইউটিউবের (Youtube) মালিক গুগলের কাছেও প্রশ্ন করেন, ‘আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতি’র মতো কী বিষয়বস্তু রাহুল-প্রিয়াঙ্কা নিজেদের ভাষণে বলেছেন, সেটা স্পষ্ট করে জানানো হোক। মানুষের বিষয়ে কথা বলতে গেলে এবার থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা হবে বলেও কটাক্ষ করেছেন রমেশ।
[আরও পড়ুন: না চাইলে কোনও দম্পতিকে একসঙ্গে থাকতে বলা নিষ্ঠুরতা, মন্তব্য হাই কোর্টের]
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi)গত সপ্তাহে হায়দরাবাদে নিজের ভাষণে একজন মহিলা চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার জন্য কারা দায়ী, কেন সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল, সেগুলি না দেখে মেয়েটি চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করেছিল কি না সেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।” এভাবেই তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে সেখানে তরুণদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের দিকে আঙুল তোলা হয়, চাকরি দেওয়া হয় না বলে মন্তব্য করেছিলেন। ‘আত্মহত্যা’ শব্দটির জন্য ইউটিউবের তরফে কোনও বিভ্রাট ঘটেছে কি না, তা জানা যায়নি।