সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর, দলের সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই ইস্তফাপত্র এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাহুল গান্ধী৷ নির্বাচনে পরাজয়ের সমস্ত দায় নিয়ে, বুধবার পাকাপাকি ভাবে দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোনিয়াপুত্র৷ সূত্রের খবর, গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মী মতিলাল ভোরাকে অন্তর্বর্তী সভাপতি পদে নিয়োগ করতে চলেছে কংগ্রেস৷
[ আরও পড়ুন: ছাত্রের গলায় কুঠার, কাশ্মীরি শিক্ষকের ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল]
এদিন চার পাতার ইস্তফাপত্রের কপি টুইট করে প্রথম খবরটি প্রকাশ্যে আনেন রাহুল গান্ধী নিজেই৷ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে জানান তিনি৷ এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘দেরি না করে, দলের শীঘ্রই নয়া সভাপতি নির্বাচন করা উচিত৷ আমি এখন আর এই দৌড়ে নেই৷ আমি ইতিমধ্যে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি৷ এখন আমি আর কংগ্রেস সভাপতির পদে নেই৷’’ জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি, সভাপতি পদে এখনই নির্বাচন হওয়া উচিত করা বলে জানান রাহুল গান্ধী৷ দাবি করেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কোনও ব্যক্তিকে সভাপতি নির্বাচিত করা উচিত৷
[ আরও পড়ুন: দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মন্দির, রিপোর্ট তলব শাহর ]
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাহুল গান্ধীর ইস্তফা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে দলের অন্দরে৷ ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন দলের বহু নেতা৷ সোমবার পদত্যাগের বিষয় নিয়ে রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার রাহুলকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার অনুরোধ করেন। কিন্তু, তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি ওয়ানড়ের সাংসদ। তখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু, তারপরও রাহুল তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও সরবেন না বলে জানিয়ে দেন। আরেকদিকে, রাহুলের এই পদক্ষেপ এবং টুইটারে পদত্যাগপত্র পেশ করাকে ‘নাটক’ বলে মনে করছে বিজেপি৷
The post সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্তফাপত্র দিয়ে শেষমেশ পদ ছেড়েই দিলেন রাহুল গান্ধী appeared first on Sangbad Pratidin.