সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৩ দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে এই প্রথম কোনও সাংবিধানিক পদে বসলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি করছেন কংগ্রেসের রাজপুত্র। এর আগে দলের সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু কোনও সাংবিধানিক পদে কোনওদিন বসেননি। অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে বসেছেন তিনি। কিন্তু ওই পদে কী কী বাড়তি সুবিধা পাবেন রাহুল?
বিরোধী দলনেতা হিসাবে বাড়তি কী সুবিধা রাহুলের?
বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমকক্ষ হিসাবে বিবেচিত হন। মন্ত্রী যা যা কেন্দ্রীয় সুবিধা পান, সবই পাবেন রাহুল গান্ধী।
সংসদ ভবনের অন্দরে তাঁর একটি আলাদ অফিস থাকবে। থাকবেন নিজস্ব কর্মীও।
সিবিআই (CBI) ডিরেক্টর, নির্বাচন কমিশনার, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের কমিটিতে ঢুকে যাবেন রায়বরেলির সাংসদ। অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ সব কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাথায় লোক বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে রাহুলের কথা।
[আরও পড়ুন: সঙ্গী গ্রেপ্তার হতেই বাংলাদেশে পালানোর ছক! STF-এর তৎপরতায় জালে মায়াপুরের ‘জঙ্গি’ হারেজ]
বস্তুত সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারের কাজের ভুলত্রুটি তুলে ধরা, সরকারকে আয়না দেখানোর কাজটা তাঁরই। অনেকে মনে করেন, যদি স্পিকারকে না ধরা হয়, লোকসভার (Lok Sabha) অন্দরে প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পান বিরোধী দলনেতাই। বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর হিসাবে মানুষের সমস্যা তুলে ধরার কাজটি তাঁরই।
[আরও পড়ুন: জেলে বসেই PhD-এর আবেদন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউতে মাওবাদী নেতা]
১০ বছর বাদে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ ৫৫ জন সাংসদ প্রয়োজন পড়ে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে ন্যূনতম সেই সংখ্যাও জোগাড় করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার পরিস্থিতি অন্য। এবার কংগ্রেসের হাতে ৯৯ জন সাংসদ। সঙ্গে রয়েছে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের শরিকদের সমর্থন। ফলে রাহুলের হাতে সরকারকে কোণঠাসা করার ভালো সুযোগ রয়েছে।