সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: এক জায়গা পাঁচ বছরের চেনা, আরেকটা নতুন। পাকেচক্রে এখন নতুনের জন্য পুরনোকে বিদায় জানাতে হয়েছে। রাজনীতির এমনই জটিল 'নীতি'! কিন্তু বিদায় দেওয়া মানেই তো ভুলে যাওয়া নয়, উপেক্ষাও নয়। পিছুটান নিয়েই ওয়ানড়বাসীর উদ্দেশে আবেগপ্রবণ চিঠি লিখলেন সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানড় ও রায়বরেলি - দুই আসন থেকেই জিতেছেন সোনিয়াপুত্র। একটি আসন ছাড়তে হতো তাঁকে। গান্ধীদের গড় রায়বরেলি রাখতে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল। আর তাই শেষবেলায় দক্ষিণ ভারতের এই যুদ্ধক্ষেত্রে এতদিনের সমর্থকদের কৃতজ্ঞ জানালেন তিনি।
রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া (Social Media) পোস্টে রাহুল ওয়ানড়বাসীর উদ্দেশে লেখা তাঁর চিঠি পোস্ট করেছেন। দু পাতার সেই চিঠি ছত্রে ছত্রে তাঁর আবেগের প্রকাশ। লিখেছেন, ‘‘ওয়ানড় ছেড়ে আসতে হওয়ায় আমি দুঃখিত। কিন্তু আমার সান্ত্বনা হল, আমার বোন প্রিয়াঙ্কা ওখানে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করবে। সুযোগ পেলে প্রিয়াঙ্কা ভালো কাজ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।''
[আরও পড়ুন: সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিড়ম্বনায় পুরোহিত! ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা, কেন?]
চিঠিতে রাহুল উল্লেখ করেছেন, তাঁর জীবনের কঠিন সময়, যখন তাঁকে পদে পদে অপমান করা হচ্ছিল, ছোট করা হচ্ছিল, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল, তখন নিঃশর্ত ভালোবাসা দিয়ে নিজেদের জনপ্রতিনিধিকে আগলে রেখেছেন ওয়ানড়বাসী (Wayanad)। সংসদে তাঁদের 'কণ্ঠ' হয়ে ওঠার জন্য তিনি গর্বিত। এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এ প্রসঙ্গে তিনি কেরলের (Kerala)ভয়াবহ বন্যার কথাও উল্লেখ করেছেন। সেই দুঃসময়েও নিজেদের জনপ্রতিনিধির উপর তাঁরা ভরসা রেখেছিলেন। ওয়ানড়বাসীকে তিনি পরিবার বলে মনে করেছেন, এখনও তাই মনে করবেন।
[আরও পড়ুন: আইনি জট কাটিয়ে নেটফ্লিক্সে ‘মহারাজ’, প্রথম ছবিতে কেমন অভিনয় করলেন আমিরপুত্র?]
উনিশে আমেঠি হারের ক্ষত চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) পূরণ করে দিয়েছে রায়বরেলি। সোনিয়ার গড় থেকে এবার রেকর্ড ভোটে জিতেছেন তাঁর পুত্র। আবার কেরলের ওয়ানড় থেকেও জিতেছেন রাহুল। ওয়ানড় আসনটি ছেড়ে তিনি রায়বরেলির (Rae Bareli) সাংসদ হয়ে সোমবার শপথ নেবেন। আর ওয়ানড়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। দাদার শক্ত ঘাঁটিতে উপনির্বাচন দিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা। তবে রাহুলের রাজনৈতিক জীবনে ওয়ানড়-পর্ব শেষের আগে তাঁর এই চিঠি নিঃসন্দেহে অন্য ছাপ রেখে গেল।