সুকুমার সরকার, ঢাকা: নেই সিগন্যাল, লাইনম্যান। বিনা বাধায় রেললাইনে যাত্রীবোঝাই গাড়ি উঠে যেতেই বড়সড় বিপত্তি। বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় ওই গাড়ির ১১ জন যাত্রীর মৃত্যু হল। শুক্রবার বেলা দেড়টা নাগাদ মিরসরাই বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় তিনজন ভরতি হাসপাতালে। হতাহতদের বাড়ি হাটহাজারির আমানবাজার এলাকায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, খৈয়াছড়া ঝরনা নামের পর্যটন স্থল থেকে স্নান সেরে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর গাড়িটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। হতাহত সকলেই ওই গাড়ির যাত্রী। রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটি ঢাকা (Dhaka) থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনসার আলি জানান, ট্রেনটি বড়তাকিয়া পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনে উঠে যায় গাড়িটি। ইঞ্জিনের ধাক্কায় ওই গাড়িটিকে নিয়ে কিছুদূর চলে যায়। লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে গাড়িটি লাইনে উঠে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে এই দুর্ঘটনার পর ওই শাখায় ট্রেন (Train) চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: টি-২০ ম্যাচ চলাকালীন ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল স্টেডিয়াম! ভিডিও ভাইরাল]
এদিকে চট্টগ্রামের (Chittagong) মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কোনও লাইনম্যান ছিলেন না। ছিল না সড়কের উপর লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যালও। এই কারণে কোনও বাধা ছাড়াই রেললাইনের উপর উঠে যায় যাত্রীবাহী গাড়িটি। তাতেই ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন আরোহী। ট্রেনের যাত্রী মহম্মদ কলিমউদ্দিন জানান, গাড়িটি মহাসড়কের দিকে চলে যাচ্ছিল। বৃষ্টিও পড়ছিল। সড়কের লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না। লাইনম্যানও ছিলেন না। তার জেরেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে খবর।