সুকুমার সরকার, ঢাকা: উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্লাবিত বাংলাদেশের একাংশও। উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর (Teesta River) জল হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ওপার বাংলা। সেদেশের কিশোরগঞ্জ এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন তলিয়ে গেল জলে। যার জেরে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ রুটে বন্ধ ট্রেন চলাচল (Train Services)। আটকে পড়েছে দুটি মেল ট্রেন। চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কানিকাটা বিল এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন জলের নিচে চলে গিয়েছে। এতে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে যাওয়া ৩৭ আপ একটি মেল ট্রেন কানিকাটায় আটকে যায়। উলটোদিক থেকে ৩৭ ডাউন মেল ট্রেন ময়মনসিংহের নান্দাইল স্টেশনে আটকে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: তিস্তার জলে প্লাবিত বাংলাদেশের একাংশ, বাসিন্দাদের সতর্ক করতে চলছে মাইকিং]
৩৭ আপ মেল ট্রেনের যাত্রী মহম্মদ নাজমুল ও সেলিমের সঙ্গে জানান, সকাল থেকে তাঁরা কানিকাটায় ট্রেনে আটকে রয়েছেন। রেললাইন তলিয়ে যাওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই দিন প্রায় শেষ হয়ে গেলেও তাঁরা ময়মনসিংহে পৌঁছতে পারেননি। এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ রেলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক মহম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, “গতকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টির কারণে কানিকাটা বিলপাড় এলাকার রেললাইনের বেশ কিছু অংশ জলের নীচে চলে গিয়েছে। যে কারণে দুটি মেল ট্রেন দুপাশে আটকে আছে। তবে এখন বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জল কিছুটা নামতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, শীঘ্রই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে।”
অন্যদিকে, জল বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বাংলাদেশে। আকস্মিক জল বৃদ্ধিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি মরশুমে কয়েক দফায় বন্যা (Flood) হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। মরশুমের শেষ দিকে এই বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি, বসতবাড়ি, গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। এর আগে বুধবার থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করে তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে সরিয়ে নিতে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন।