সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে যাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল সরডিহা (Sardiha) স্টেশন। রবিবার সকালে প্রায় ৪ ঘণ্টা চলে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে ছিলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ পর স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাসে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
ঝাড়গ্রামের (Jhargram) আগের স্টেশন সরডিহা। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০০৩ সাল থেকে সরডিহা স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া শুরু করে স্টিল। ফলত এই ট্রেনের অপেক্ষায় থাকেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। অন্যান্যদিনের মতো রবিবার সকাল ৭. ৪৫-এ যাত্রীরা স্টেশনে অপেক্ষায় থাকলেও দাঁড়ায়নি স্টিল। একই ঘটনা ঘটে রাতেও। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের সঞ্চার হয় সকলের মধ্যে। এরপর সোমবার সকালে স্টিল এক্সপ্রেস সরডিহায় ঢুকতেই রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সাংসদ কুনার হেমব্রম। দীর্ঘক্ষণ তাঁর সামনেই চলে বিক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: মমতার পাশে অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা? মেদিনীপুরের সভায় হাজিরা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, রেল পুলিশ ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। দীর্ঘক্ষণ পর অবশেষে স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাসে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ইউজার্স কমিটির তরফে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রেলের তরফে সমস্যা সমাধানের লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী।” উল্লখ্য, এদিনের বিক্ষোভের জেরে স্টিলের পিছনে আটকে পড়ে হাওড়া-জনশতাব্দী, ইস্পাত, কলাইকুণ্ডাকতে আটকে ছিল দুরন্ত এক্সপ্রেস। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।