সুব্রত বিশ্বাস: করোনা কালে (Coronavirus) মেমু ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া তিনগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব রেল। যার জেরে গত কয়েকদিনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন যাত্রীরা। চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল রেল। বিভিন্ন রুটের মেমু ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে পুরনো ভাড়াতেই।
করোনার কারণ গত মে মাস থেকে রাজ্যে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। তবে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হতেই রেলের তরফে চালানো হচ্ছিল স্টাফ স্পেশ্যাল। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রুটে আরও কিছু স্পেশ্যাল ট্রেন চলছিল। ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল মেমু ও প্যাসেঞ্জারের। গত রবিবার লোকাল ট্রেন চালু হতেই যাত্রীরা অভিযোগ করেন, লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি তবে তিনগুণ ভাড়ায় চালানো হচ্ছে মেমু ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সেই বিক্ষোভের জেরে রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগের ভাড়াতেই চলবে মেমু ও প্যাসেঞ্জার।
[আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন দাঁড় করানোর দাবিতে দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধ নদিয়ায়, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা]
গত মে মাসে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে। তার ফলে রাজ্যের তরফে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার অফিসযাত্রী। ক্ষুব্ধ হয়ে বহু জায়গাতেই অবরোধ-বিক্ষোভে শামিল হন বহু মানুষ। তা সত্ত্বেও বারবারই নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া যায়, করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কোনওভাবেই লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সেই সময় রাজ্যের তরফে বলা হয়, লোকাল ট্রেন চালু হলে আরও বাড়তে পারে।
অবশেষে গত রবিবার থেকে লোকাল ট্রেনের চাকা গড়িয়েছে। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, মাত্র ৫০ শতাংশ যাত্রী লোকাল ট্রেন চড়তে পারবেন। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ।