সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ছেলে নির্দোষ৷ ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ প্রশাসন চপার নামার অনুমতি না দেওয়ায়, বিজেপি নেতারা নিশানা করছেন রাজীব কুমারকে৷ এমনই অভিযোগ করলেন রাজীব কুমারের মা৷ উত্তরপ্রদেশের সম্বলের চন্দৌসি থেকে ছেলের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন তিনি৷ জানালেন, তাঁর ছেলে সৎ এবং নিষ্ঠাবান একজন পুলিশ অফিসার৷ সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা৷
[মমতার ধরনা মঞ্চে নেই অভিষেক, তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা]
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজীবের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ওর সঙ্গে আমার আশীর্বাদ রয়েছে। রাজীব প্রতিহিংসার শিকার। ও সত্যি দোষী হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ওর পাশে দাঁড়াতেন না৷’’ জঙ্গি দমনে পারদর্শিতার জন্য প্রশাসনিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই বেশ পরিচিত নাম রাজীব কুমার৷ রবিবার থেকে এহেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার এখন সংবাদ মাধ্যমের কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে চিটফাণ্ড তদন্তে সহযোগিতা না করার এবং তথ্য-প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনেছে সিবিআই৷ এই অভিযোগে রবিবার বিকালে হঠাৎই রাজীবের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ তাঁদের বাধা দেয় রাজ্য পুলিশ৷ উলটে সিবিআই আধিকারিকদের আটক করা হয়৷ নগরপালের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷ সিবিআইয়ের এই কীর্তির বিরোধিতা করে রবিবার থেকেই ধর্মতলায় ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজীব কুমার ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এরপর সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই৷
[সত্যের সঙ্গ দিতে মমতার সত্যাগ্রহ মঞ্চে হাজির ‘গান্ধীজি’ ]
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চে ওঠে দেশের ইতিহাসের অন্যতম নজিরবিহীন এই মামলা। রাজ্য পুলিশের তরফে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি সওয়াল করেন। এদিন প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনারকে শিলংয়ে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআইয়ের তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে হবে রাজীব কুমারকে। তবে পুলিশ কমিশনারকে আপাতত গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও সাফ নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে।