স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : “সময় এসেছে। এবার ট্রাক্টর নিয়ে গান্ধীনগর ঘেরাও করে রাস্তা বন্ধ করে দেব। দরকার হলে সব ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাব।” কৃষক আন্দোলনের (Farmers protest) প্রচার ও প্রসারে দু’দিনের সফরে গুজরাটে (Gujarat) গিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। সোমবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর লোকসভা কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) রাজ্যের রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
এদিন, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্কর সিং বাঘেলার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মস্থানে যান কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। সেখানে তিনি বলেন, “গুজরাটের কৃষকরা মাত্র তিন টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ কেউ কেউ তাঁদের উপর এমন চাপ দিচ্ছেন যে, ওঁরা ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কে বা কারা এই চাপ দিচ্ছেন, তা নিশ্চয়ই বলে বোঝাতে হবে না। আমরা এখানের কৃষকদের পাশে থেকে, ওঁদের মন থেকে ভয় দূর করতে এসেছি। দিল্লিতে যে আন্দোলন চলছে, এবার এখানেও তা হবে। দরকার হলে ট্রাক্টর নিয়ে গান্ধীনগর স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: বিজাপুরে জওয়ানদের ফাঁদে ফেলার মাস্টারমাইন্ড হিদমা! কীভাবে উত্থান এই মাও নেতার?]
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মেনে, এদিন দেশের নানা প্রান্তে এফসিআই অফিস ঘেরাও করেন কৃষকরা। স্বাভাবিক নিয়ম মেনে প্রায় সব জায়গাতেই ছিল ব্যাপক পুলিশি প্রহরা। তার মধ্যেই নিজেদের দাবিদাওয়া স্মারকলিপির আকারে জমা দেন আন্দোলনকারীরা। কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারকে ঘেরাও করে প্রতিবাদ দেখান কৃষকরা। সেই সময় তাঁদের উপর পুলিশ যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এদিন সেই ঘটনার প্রতিবাদে হরিয়ানার বিভিন্ন টোল প্লাজা, হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। পোড়ানো হয় খট্টারের কুশপুতুল।
এদিন রোহতক-পানিপথ হাইওয়েতে কিষান মহাপঞ্চায়েত করেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা গুরনাম সিং চাঁদুনি। তিনি বলেন, “হরিয়ানা সরকার এখন একটাই মন্ত্র নিয়ে রেখেছে। যেভাবে হোক আমাদের উপর আক্রমণ করা। আমরাও এর শেষ দেখে রাখব। বিজেপি আর জেজেপি নেতাদের বলে রাখছি, যতদিন না আমাদের দাবি মানা হচ্ছে, নিজেদের সব ধরনের কর্মসূচি বাতিল করুন। রাস্তায় বের হলেই আবার আপনাদের ঘিরে প্রতিবাদ দেখাব।”