সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে গোটা দেশে উৎসবে মেতে উঠেছে। যার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় ‘ভারত সম্মেলনে’র সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নগরী। সেই রামলালার সৌম্যকান্তি বিগ্রহ তৈরি করেছেন কর্নাটকের শিল্পী তথা ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ (Arun Yogiraj)। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মন্দিরে তাঁর তৈরি মূর্তি স্থাপনে আপ্লুত শিল্পী। বললেন, “আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।”
যে মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ সেটি রামের শিশু অবস্থার প্রতিকৃতি। কষ্ঠি পাথর কেটে ৫১ ইঞ্চির রামলালার মূর্তি গড়া হয়েছে। মূল মূর্তিটিকে ঘিরে রয়েছে দশাবতার। পাথর খোদাই তিলে তিলে যা তৈরি করেছেন শিল্পী। সোমবার সেই মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন অরুণ। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি। আমার পূর্বপুরুষ এবং ভগবান রামলালার আশীর্বাদ সবসময় আমার সঙ্গে রয়েছে।” আপ্লুত শিল্পী আরও বলেন, “মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি যেন স্বপ্নের জগতে আছি। যে রাম লালাকে ঘিরে আজ সারা দেশে উন্মাদনা, আমি নিজে হাতে পাথর কেটে সেই রামলালাকে তৈরি করেছি। এই ঘটনা সত্যিই আমার কাছে অকল্পনীয়।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারততীর্থ’ অযোধ্যায় ডোম রাজার হাতে প্রাণ পাবে শিশু রাম]
প্রসঙ্গত, মন্দির উদ্বোধনের পর সোমবার মোদি বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘সমর্থ, সক্ষম, ভব্য, দিব্য ভারত’ প্রতিষ্ঠিত হল। নিজের ভাষণে আবেগ বিহ্বল প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুভব করছি মঙ্গলময় স্থানে পবিত্র দিনে দৈব আত্মাদের উপস্থিতি। অনুভব করছি কালচক্রে বদলাচ্ছে। ‘এহি সময় হ্যায়, সহি সময় হ্যয়’।” বাল্মিকীর শ্লোক পাঠ করেন মোদি। যার অর্থ “আগামী হাজার বছরের জন্য প্রতিষ্ঠিত হল রামরাজ্য।” এর পরেই বলেন, “রামমন্দির তো হল। কিন্তু এর পর কী?” নিজেই উত্তর দেন, “এবার মন্দির নির্মাণ থেকে ভারত নির্মাণ অর্থাৎ রাষ্ট্রনির্মাণ। সমর্থ, সক্ষম, ভব্য, দিব্য ভারত প্রতিষ্ঠিত হওয়া চাই দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে।”