সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় রসিকতা করে রামায়নের নয়া সংস্করণ এনেছিলেন। তা শুনে হেসে কুটোপাটি খেয়েছিলেন রসিক শ্রোতা। কিন্তু তা বলে পড়ুয়াদের সামনে রাম আর রাবণ উলটে গেলে আক্ষরিক অর্থেই লঙ্কাকাণ্ড বাধে। সে বিতর্কেরই আঁচ পোহাচ্ছে গুজরাট। সে রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণির সংস্কৃত পাঠ্যবইয়ে স্পষ্ট লেখা হল, সীতাকে অপরণ করেছিলেন খোদ রামচন্দ্রই।
[ বাল গঙ্গাধর তিলক ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’! অষ্টম শ্রেণির সহায়িকা বই ঘিরে বিতর্ক ]
যে সীতাকে উদ্ধারের জন্য রামের যুদ্ধ, ন্যায়রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, সেই রামই সীতাকে অপরহরণ করে বসলেন। কোন যুক্তিতে এই নব রামায়ণের প্রতিষ্ঠা হল? বিশেষজ্ঞরা হালে পানি পাচ্ছেন না। সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য রঘুবংশের কথা বলা হয়েছিল পাঠ্যে। বইটির ১০৬ নং পাতায় রামের বেশ প্রশংসাই করা হয়েছে। কবি কীভাবে রামের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তারপই বলা হয় সীতাকে রাম যখন অপহরণ করেছিলেন তখন লক্ষণ হৃদয়বিদারী কিছু কথা বলেছিলেন দাদা রামকে। এদিকে অপরহণের দোষেও দুষ্ট হয়েছেন রাম। আবার লক্ষ্মণ তাঁর কাছেই বিলাপ করছেন। দুয়ে মিলে একেবারে তালগোল পাকানোর অবস্থা। ব্যাপারটা কী? কেন মোদির রাজ্যে এ নব রামায়ণের উদ্ভব। অনুমান করা হচ্ছে, এর জন্য দায়ী ছাপাখানার ভূত। অন্তত সেরকমটাই জানাচ্ছেন, গুজরাটের স্কুল পাঠ্যের স্টেট বোর্ডের কার্যকরী সভাপতি নীতীন পিঠানি। বলছেন, কোনও কারণে রাবণের জায়গায় রাম ছাপা হয়ে গিয়েছে। নইলে রামায়ণের এ ধরনের কোনও ভাষ্য নেই। প্রথমে অবশ্য তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। পরে শোরগোল পড়ার পরই নড়েচড়ে বসেন। ছাপাখানার ভুল বলেই আপাতত রাম-বিপত্তি ঢাকছেন তিনি।
[ দেশজুড়ে ১০ দিন ধর্মঘটের ডাক কৃষকদের, খাদ্য সংকটের আশঙ্কা ]
দিনকয়েক আগে পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল রাজস্থানে। সেখানে একটি সহায়িকা বইতে বাল গঙ্গাধর তিলককে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। পরে জানানো হয়, সশস্ত্র বিপ্লব বলতে গিয়েই সন্ত্রাসবাদী কথাটি উঠে এসেছিল।
The post সীতাকে অপহরণ করেছিলেন খোদ রাম, গুজরাটে পাঠ্যবইয়ে এবার ‘নব রামায়ণ’! appeared first on Sangbad Pratidin.