সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালবাজারের পর রায়গঞ্জ। তবে এবার আর প্রতিমা নিরঞ্জন নয়, পুজোর কার্নিভ্যাল চলাকালীন ঘটল বিপত্তি। প্রতিমা বহনকারী গাড়ি ফেলে দৌড়ে পালাল দু'টি বলদ। বলদ ও কার্নিভ্যালে উপস্থিত দর্শনার্থীদের ধাক্কাধাক্কিতে জখম অন্তত ৩০ জন। যদিও জেলাশাসকের দাবি আহত হয়েছেন ৮ জন। একজনের প্রাণহানির খবরও পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়। সেইমতো রায়গঞ্জে কার্নিভ্যালে অংশ নেয় রায়গঞ্জ অনুশীলনী ক্লাব। ওই ক্লাবের প্রতিমাগুলিকে তিনটি গরুর গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কার্নিভ্যাল মঞ্চ পেরনোর পরই বিপত্তি। আচমকা দু'টি বলদ গাড়ি ফেলে ছুটে পালিয়ে যায়। সেই সময় বলদগুলিকে যদিও নিয়ন্ত্রণে আনেন গরুর গাড়ির চালক। পরে আবারও একই আচরণ করে বলদ দু'টি। কারও তোয়াক্কা না করে গরুগুলি দর্শনার্থীদের মাঝে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। তাতে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। হুড়োহুড়ি, দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বাস-ট্রাক ভয়াবহ সংঘর্ষ, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত অন্তত ১১]
তাতেই জখম হন অন্তত ৩০ জন। যদিও জেলাশাসকের দাবি, আহতের সংখ্যা ৮ জন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর জখম হন রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও তাঁকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার এবং রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। জেলাশাসকের দাবি, কার্নিভ্যাল শেষ হওয়ার পর এই বিপত্তি ঘটে। তাতে ৮ জন জখম হন। তিনজন ভরতি হাসপাতালে। একজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।