সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: আইনি জটিলতায় আটকে গিয়েছে রানাঘাট কামালপুরের অভিযান সংঘের ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো। পুজো করতে না পারার বিষাদে ও দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়ে দশমীর দিন মাথা নেড়া করলেন কামালপুর গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি, ক্লাবের তরফে ওই স্থানে একটি মন্দির তৈরির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার তার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।
পয়লা বৈশাখের দিন খুঁটিপুজো করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দর্শকদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন জটিলতায় পুজো করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুজো কমিটি। পরে সেই মামলা তুলে নিয়ে পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই সময় তাঁরা জানিয়েছিলেন, "মামলা লড়ার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় এই সিদ্ধান্ত।" ফলে 'বোধনে'র আগেই 'বিসর্জন' হয় ওই পুজোর। তারই প্রতিবাদে পঞ্জিকা অনুসারে দশমীর দিন মাথা নেড়া করেন গ্রামবাসীরা।
অভিযান সংঘের পক্ষ থেকে সুজয় বিশ্বাস বলেন, "পুজো করতে না পারায় গ্রামবাসীরা প্রতিদিনই কিছু না কিছু করেছে। অর্ধসমাপ্ত মণ্ডপের সামনে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। দশমীর দিন ওঁরা মাথা নেড়া করিয়েছেন। এর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও যোগ নেই।"
পাশাপাশি পুজো না হওয়ার বিষয়ে বলেন, "পুজোটা করার জন্য পুরো চেষ্টা করেছি। কিন্তু হয়নি। আমার মনে হয় পুজো করার জন্য কমিটিরগুলির কাছে প্রশাসনের সব রকম সহযোগিতা নিয়ে আসা উচিত। আমাদের মতো যেন অন্যদের ঝামেলা মধ্যে না পড়তে হয়।" তাঁর আরও দাবি, পুজো হলে রাজ্যের প্রথম সারিতে গ্রামটিকে তুলে ধরা যেত। অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতেন। পাশাপাশি, ওই স্থানেই একটি দুর্গা মন্দির তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।