সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। ৭৩ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। গতকাল, বুধবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি ঘোষণা করেন, এই সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেট শপথ নেবে। অবশেষে বৃহস্পতিবারই শপথ নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ সময় ধরেই বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছিল শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার পদত্যাগ করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সেই সময় থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, এবার প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? তখনই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা হয়, বিক্রমসিংহে ছাড়া সম্ভবত আর কোনও ‘অপশন’ নেই। তিনি চারবার দেশের মসনদে বসেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই ধারণাই সত্যি হল। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। এই সংকটের সময়ে কাঁধে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই।”
[আরও পড়ুন: ‘জনগণমন’ গেয়েই ক্লাস শুরু করতে হবে মাদ্রাসার পড়ুয়া ও শিক্ষকদের, ঘোষণা যোগী সরকারের]
উল্লেখ্য, সোমবারই পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে। কিন্তু এরপরও ক্রমশই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। বন্দর শহর হামবানটোটায় রাজাপক্ষেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। এযাবৎ কলম্বো ও দেশের অন্য প্রান্তে সংঘর্ষে আড়াইশোর উপরে মানুষ আহত হয়েছেন। দেশজুড়ে কারফিউ। নামানো হয়েছে সেনা। কেবল রাজাপক্ষের বাড়িই নয় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংসদ সনৎ নিশান্ত, মহীপাল হেরাথ, নিমাল লাংজা, রমেশ পথিরানা ও মোরাতুয়ার মেয়র সমন লালের বাড়িতেও।
রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়া শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি শোধরাতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বুধবারই শাসক দল ও প্রধান বিরোধী দল এসজেবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতার পরে অবশেষে বিক্রমাসিংঘের দায়িত্বলাভের মধ্যে দিয়ে সুদিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন শ্রীলঙ্কাবাসী।