shono
Advertisement

টাকা আদায় করতেই ধর্ষণের অভিযোগ, পালটা সাফাই ঋতব্রতর

অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অভিযোগ বহিষ্কৃত সিপিএম নেতার।
Posted: 05:49 PM Oct 09, 2017Updated: 12:19 PM Oct 09, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। দলবিরোধী কাজ থেকে বিলাসী জীবনযাপনের অভিযোগ ছিল। গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিল ধর্ষণ। সম্প্রতি সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। তারই পালটা সাফাই দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তাঁর বক্তব্য, টাকা আদায় করার জন্যই ধর্ষণের কথা বলছেন ওই মহিলা।

Advertisement

নম্রতা দত্ত নামে ওই মহিলার অভিযোগে সরগরম গোটা দেশ। ঋতব্রতর সঙ্গে ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি শুধু ফাঁস করেননি, তাঁর অভিযোগ তিনি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছেও। মহিলার দাবি, পশ্চিমবঙ্গেও তিনি অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য জায়গার ঘটনা বলে সে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। মহিলা জানান, ঋতব্রতর সঙ্গে দিল্লিতে তিনি দিন সাতেক ছিলেন। সেখানে তাঁদের যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন ঋতব্রত। কিন্তু পরে তা অস্বীকার করেন। মুখ বন্ধ করতে আড়াই লক্ষ টাকা দেন তিনি। পরে আরও পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

ফের বিতর্কে ঋতব্রত, এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ]

এই অভিযোগের পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও পালটা অভিযোগে ঋতব্রত জানিয়েছেন, টাকা আদায় করার জন্যই ওই মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। পুরো অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পনা মাফিক। ঋতব্রতর দাবি, তিনি ওই মহিলাকে চিনতেন। পড়াশোনার জন্য তাঁর জরুরি ভিত্তিতে টাকা দরকার হয়েছিল। সে কারণে একটি ব্যাঙ্ক থেকে আড়াই লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। কিন্তু দিনে দিনে মহিলার চাহিদা বাড়তে থাকে। এটা ওটা দাবি করতে থাকেন। আর সে কারণেই এই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেন তিনি। এখন তাঁর থেকে টাকা আদায়ের জন্যই মহিলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন।

[  নারদ কাণ্ডে মুকুল রায়কে টাকা নিতে দেখা যায়নি, দিলীপের বক্তব্যে নয়া ইঙ্গিত ]

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, মহিলার অভিযোগ করার সময় নিয়েও। যে ঘটনার কথা তিনি বলছেন, তা বেশ পুরনো। তখনই যদি ঋতব্রত তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তিনি এতদিন পরে কেন অভিযোগ দায়ের করলেন। মহিলার দাবি, তিনি পড়াশোনার জন্য নেদারল্যান্ডসে ছিলেন। দিনকয়েক হলেন দেশে ফিরেছেন। আর তারপরই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ঋতব্রত ও মহিলা যে একে অপরকে চিনতেন এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যেরকমভাবে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তিনি, ও যেরকম জায়গায় নিজের কথা পৌঁছে দিয়েছেন তাতে মহিলার কথার যুক্তি আছে বলেই মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, এর আগেও ঋতব্রতর বিরুদ্ধে নারীসঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। তবে ধর্ষণের এই অভিযোগে বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা আরও বিপাকে পড়লেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement