সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক খুব একটা আহামরি নয়। এমন একাধিক অতীত উদাহরণ রয়েছে। এবার ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) বিতর্ককে সামনে রেখে সেই মনোমালিন্য যেন আরও একবার উসকে গেল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ সাফ জানিয়ে দিলেন, ঋদ্ধিমানের ‘হুমকি’র বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
গত শনিবার লঙ্কাবাহিনীর বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) নির্বাচক প্রধান। যেখানে বাদ পড়েন ঋদ্ধি। উইকেটকিপার হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ঋষভ পন্থকেই। এই ঘোষণার পরই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বাংলার ক্রিকেটার। ঋদ্ধি বলে দেন, সৌরভ তাঁকে বলেছিলেন, “আমি বোর্ডে থাকলে তুমি ঠিক দলে সুযোগ পাবে।” এমনকী ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও (Rahul Dravid) আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। ঋদ্ধির দাবি, দ্রাবিড় নাকি তাঁকে পরোক্ষে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন! যদিও এ খবর প্রকাশ্যে আসায় দুঃখিত নন বলে জানিয়ে দেন দ্য ওয়াল দ্রাবিড়। এসবের মধ্যেই আবার জুড়ে যায় আরেকটি বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: দুরন্ত বোলিং হর্ষলের, ওয়ানডে’র পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ ভারতের]
ঋদ্ধি জানান, এক সাংবাদিকের থেকে ‘হুমকি’ মেসেজ পেয়েছেন তিনি! নাম না করে ওই সাংবাদিকের পাঠানো মেসেজের একটি স্ক্রিনশটও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha)। যেখানে তিনি জানান, দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনও কথা বলতে না চাওয়ায় তাঁকে রীতিমতো এক সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা, ঋদ্ধিমান ফোন না ধরায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। আর তিনি অপমান হালকাভাবে নেন না। আক্ষেপের সুরে পোস্টের ক্যাপশনে বাংলার উইকেটরক্ষক লেখেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে এতদিনের অবদানের পর শেষে এই আমার প্রাপ্তি। একজন সম্মানীয় সাংবাদিকের থেকে এমন মেসেজ পেতে হচ্ছে। এই পথেই এগিয়েছে সাংবাদিকতা।” নেটদুনিয়ায় পোস্টটি ভাইরাল হতেই বাংলার উইকেটকিপারের পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ান বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, হরভজন সিং, আরপি সিংরা। সেই তালিকারই নবতম সংযোজন শাস্ত্রী।
এদিন তিনি টুইট করেন, “সাংবাদিকের কাছ থেকে ক্রিকেটারের হুমকি পাওয়ার ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। এবার এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কে ঋদ্ধিমানের সঙ্গে এমনটা করেছে, তাঁকে খুঁজে পাওয়া দরকার। যতই হোক, ও (ঋদ্ধি) একজন দারুণ টিম ম্যান।” অর্থাৎ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তথা বোর্ডের যে এ নিয়ে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, সে বার্তাই যেন দিয়ে দিলেন শাস্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করার পুরস্কার, ৬ বছর পর টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ভারত]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল এও জানিয়েছেন, “কে এমনটা করল, কোন পরিস্থিতিতে কেন এমন মেসেজ করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”