সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যতই ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ আইনের বিরোধিতা করুন। ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সমর্থনই করেন ক্রিকেটের এই বিতর্কিত নিয়মকে। অশ্বিনের মতে, ক্রিকেট নামক খেলাটায় অনেক বেশি করে ‘ন্যায়’ ফিরিয়ে এনেছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ আইন। স্ট্র্যাটেজির গুরুত্বও বেড়েছে।
ভারতীয় টিমের দুই স্তম্ভ রোহিত-বিরাট অতীতে বলেছিলেন যে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের আইন তাঁরা সমর্থন করেন না। কারণ, তা অলরাউন্ডারদের উন্নতিতে ব্যাঘাত ঘটায়। বল-ব্যাটের ভারসাম্য আক্রান্ত হয় তাতে। কিন্তু অশ্বিন তা মানেন না। কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতীয় অফস্পিনার বলে দিয়েছেন, ‘‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মকে আমার খুব খারাপ লাগে না। কারণ, এতে স্ট্র্যাটেজির গুরুত্ব বাড়ে। কেউ কেউ বলেছে যে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইনের কারণে অলরাউন্ডারের উন্নতি ঠিকমতো হচ্ছে না। কিন্তু আমার বক্তব্য হল, উন্নতি করতে তো কেউ নিষেধ করছে না। এখনকার প্রজন্মের কোনও অলরাউন্ডারকেই তো সে ভাবে দেখি না মন দিয়ে দু’টো ভূমিকা পালন করতে। আমার মনে হয় না, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইনের জন্য অলরাউন্ডারদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেই দেখুন। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে দারুণ খেলছে। তাই আমি বলব, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইনে নতুনত্বের জায়গা রয়েছে। ক্রিকেটে ন্যায় ফেরানোর জায়গা রয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ‘সর্বকালের সেরা রোনাল্ডোই, মেসি নয়’, এমবাপের সোশাল মিডিয়া থেকে পোস্ট, আলোড়ন ফুটবলদুনিয়ায়]
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে উদাহরণ পেশ করতে গিয়ে গত আইপিএলের ‘কোয়ালিফায়ার টু’-এর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অশ্বিন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ট্রাভিস হেডকে তুলে শাহবাজ আহমেদকে নামিয়ে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত তিন উইকেট নিয়ে (যার মধ্যে অশ্বিনের উইকেটও ছিল) ম্যাচের সেরা হয়ে যান তিনি। ‘‘শাহবাজ তো সেদিন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ম্যাচের সেরা হয়ে গিয়েছিল। আবার দেখুন, শিশিরের কারণে অনেক সময়ই খেলাটা একপেশে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পরে যারা বোলিং করছে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম তাদের হাতে একটা নতুন বোলিং অস্ত্র যোগ করার সুযোগ দেয়। একই রকম ভাবে যদি আপনি পরে ব্যাট করেন, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইনকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি একজন ব্যাটার নামাতে পারে সেই টিম,’’ বলে দিয়েছেন অশ্বিন।
[আরও পড়ুন: ভারতকে ‘টুকে’ দাও! বেহাল পাক ক্রিকেট বাঁচাতে দাওয়াই প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের]
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘তা ছাড়া ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কারণে অনেক প্লেয়ার নিজেকে চেনানোর সুযোগ পাচ্ছে। আগে হয়তো তারা টিমে জায়গাই পেত না। সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের কথাও তো ভাবতে হবে। যারা কি না ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইনের কারণে, নিজেদের কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। শাহবাজ আহেমদ, শিবম দুবে, ধ্রুব জুরেলের কথা বেশি করে বলব আমি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইন না থাকলে তো ধ্রুব জুরেল খেলার সুযোগই পেত না। আমি বলছি না ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারই একমাত্র নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার পথ। কিন্তু যতটা খারাপ বলা হচ্ছে, ততটা খারাপও বোধহয় নয়।’’