সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা দেবীর বাণী চঞ্চল মনকে শান্ত করে। চিন্তা-ভাবনার দিশাকে নয়া মোড় দেয়। নেতিবাচক ভাবনাকে দূরে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। মানুষকে কর্মঠ হতে শেখায়। বহু যুগ আগে যেসব কথা তিনি বলে গিয়েছেন, যা অনুভব করে গিয়েছেন, বর্তমান সমাজেও তা প্রোযোজ্য। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল তাঁর কিছু বাণী। পাঠকদের সুবিধার জন্য বানানে সামান্য পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
ঠাকুর বলতেন, ‘ছিপ ফেলে বসলে কি রোজই রুই মাছ পড়ে? অনেক মাল-মশলা নিয়ে একাগ্র হয়ে বসলে কোন দিন বা একটা এসে পড়ল, কোন দিন বা নাই পড়ল, তাই বলে বসা ছেড়ো না। জপ বাড়িয়ে দাও।’
[স্বামী বিবেকানন্দের বাণী যা আজও অনুপ্রাণিত করে মানুষকে]
যে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে সেই তাঁর দেখা পাবে। এই সেদিন একটি ছেলে মারা গেল। আহা, সে কত ভাল ছিল! ঠাকুর তাদের বাড়ী যেতেন। একদিন ট্রামে পরের গচ্ছিত ২০০ টাকা তার পকেট থেকে মারা যায়, বাড়ি এসে তা দেখে। ব্যাকুল হয়ে গঙ্গার ধারে গিয়ে কাঁদছে, ‘হায় ঠাকুর, কী করলে!’ তার অবস্থাও তেমন ছিল না যে নিজে ঐ টাকা শোধ করবে। আহা, কাঁদতে কাঁদতে দেখে ঠাকুর সামনে এসে বলছেন, ‘কাঁদছিস্ কেন? ঐ গঙ্গার ধারে ইট চাপা আছে দ্যাখ।’ সে তাড়াতাড়ি উঠে ইটখানা তুলে দেখে, সত্যই এক তাড়া নোট! শরতের কাছে এসে সব বললে। শরৎ শুনে বললে, তোরা তো এখনও দেখা পাস, আমরা কিন্তু আর পাইনে।’ ওরা পাবে কি? ওরা তো দেখে শুনে এখন গ্যাঁট হয়ে বসেছে। যারা ঠাকুরকে দেখেনি, এখন তাদেরই ব্যাকুলতা বেশি। যদি শুদ্ধ মন হয়, কেন ধ্যানধারণা হবে না? কেন দর্শন হবে না? জপ করতে বসলুম তো আপনা হতেই ভিতর থেকে গরগর করে নাম উঠতে থাকবে, চেষ্টা করে নয়। জপধ্যান সব যথাসময়ে আলস্য ত্যাগ করে করতে হয়।
[স্বপ্নে সাপ দেখেছেন? জানেন ঘুমের মধ্যে এ কীসের ইঙ্গিত?]
দক্ষিণেশ্বরে একদিন শরীরটা খারাপ লাগায় একটু দেরিতে উঠেছি। তখন রাত তিনটায় উঠতুম। পরদিন আরও দেরিতে উঠলুম। ক্রমে দেখি আর সকালে উঠতেই ইচ্ছা যাচ্ছে না। তখন মনে হল, ওরে এইতো আলস্য পেয়েছে। তারপর জোর করে উঠতে লাগলুম, তখন সব পূর্বের মত হতে লাগল। এসব বিষয়ে রোক করে অভ্যাস রাখতে হয়।
The post ধৈর্য ও বিশ্বাসেই মেলে ঈশ্বরের সান্নিধ্য, মা সারদার বাণী শান্ত করে মনকে appeared first on Sangbad Pratidin.