সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে (Jhalda Municipality) নোটিস ধরাল ইডি। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইতিমধ্য়ে রাজ্য়ের একাধিক পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই তালিকায় জুড়ল ঝালদা পুরসভার নাম।
এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী জানান, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোননম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। ইডির নোটিসে তোলপাড় ঝালদার রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ঝালদায় ডামাডোল চলছেই! পুর বৈঠকে এবার গরহাজির তৃণমূলের প্রতীকে জেতা ৫ কাউন্সিলর]
প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিছুদিন ইডির স্ক্যানারে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও।