সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, বউ খুশি মানে সংসার সুখী। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে 'হ্যাপি ফ্যামলি' প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে নানারকম কারণ নিয়ে অশান্তি। যার প্রভাব পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে। বাড়তে থাকে দূরত্ব। সমস্যা সমাধানে হাজার আলোচনা করেও লাভ যে হয়, তা বলা যায় না। এসবের মাঝেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুখী পরিবার চাইলে বিয়ের প্রথম ৫ বছর বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকা উচিত দম্পতিদের। কিন্তু কেন? চলুন জেনে নিন কারণ।
১. বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিয়ের পর সঙ্গীকে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। একটি মেয়ে পরিবার ছেড়ে যখন অন্য পরিবেশে থাকে তখন তাঁর নানারকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তাই সেই সময় তাঁর যত্ন নেবে এমন মানুষ প্রয়োজন। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাকিদের কথা ভাবতে হয় নববধূর, কিন্তু তাঁর জন্যে কেউ নেই! যার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে।
২. নতুন পরিবেশ, নতুন জীবন, কাজও নতুন। ফলে ভুলভ্রান্তি হওয়া খুব স্বাভাবিক। উচিত ভুল না ধরে শিখিয়ে নেওয়া। কিন্তু বড়দের সঙ্গে থাকলে, তাঁরা সাধারণত ভুল ধরেন, বকাঝকাও করেন। ফলে দূরে থেকে নিজেদের মতো করে সবটা শুরু করাই ভালো। এতে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতাও বাড়ে।
৩. বিয়ে করলে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়, কিছু নিয়মও মানতে হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিয়ের মূল কিন্তু দায়িত্ব নেওয়া নয়, বরং রোমান্সই আসল। কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর-দেওরকে নিয়ে সংসারে দায়িত্ব চেপে বসে নববধূর কাঁধে। যা যুগলের মধ্যে দূরত্ব বাড়িতে তোলে।
৪. প্রতিটি মেয়েই জানে বিয়ের পর জীবনটা বদলে যায়। নিজের ইচ্ছে মতো কিছু করার স্বাধীনতাও অনেকসময় হারিয়ে যায়। প্রতিক্ষেত্রেই বাড়ির বড়দের অনুমতির বিষয় থাকে। কোন আচরণে প্রশ্ন উঠতে পারে, তা ঘুরতে থাকে বধূর মাথায়। যা কখনই কাম্য নয়।
৫. নতুন বিয়ের পর সকলেই চান একান্তে সময় কাটাতে। কিন্তু পাঁচজনের সংসারে তা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে।
৬. বিয়ের পর দু'জনের একে অপরকে চেনার জন্য একটা সময় লাগেই। তার জন্য রুটিন ভাঙা খুব দরকার। ধরুন, রাত ১০ টায় মনে হল বাড়িতে নয়, ডিনার হবে বাইরে। বা মাঝরাতে ইচ্ছে হল ঘুরতে যেতে। ইচ্ছে মতো বাঁচতে হবে একসঙ্গে জীবন শুরুর পর যতদিন সম্ভব। তাই আলাদা থাকা প্রয়োজন। পরবর্তীতে সময়ের নিয়মে শিকড়ে তো ফিরতেই হবে।
