সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মা হওয়ার অনুভূতিই অন্য। খুদেকে নিয়ে গড়ে ওঠে সব কিছু। তার পরিচর্যায় কেটে যায় দিনের বেশিরভাগ সময়। তার ফলে অনেক সময় অভিভাবকরা নানা ভুল করে ফেলেন। যার ফলে ক্ষতি হতে পারে আপনার সন্তানেরও। নিজের সন্তানের বিপদ এড়াতে চাইলে এই দশটি ভুল না করাই উচিত। সেগুলি কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
* বর্তমানে বেশিরভাগ বাবা-মা এখন কর্মব্যস্ত। তারই মাঝে সন্তানকে সময় দেওয়ার যারপরনাই চেষ্টা করেন তাঁরা। কেউ কেউ মনে করেন, এভাবে নাকি সন্তানের অবহেলা করছেন বাবা-মায়েরা। একথা শোনার ফলে অপরাধবোধে ভোগেন বহু অভিভাবক। তাই সব কিছুতে যথার্থ হওয়ার চেষ্টা করেন। এই ভুলটি করবেন না। সকলের কথায় কান দিতে যাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়বে আপনারই।
* বহু সদ্য বাবা-মা সন্তানের ছোটখাট শারীরিক সমস্যা দেখলেই ঘাবড়ে যান। চিকিৎসকের কাছে দৌড়ে যান। তা করবেন না। সতর্ক হোন। আতঙ্কিত হবেন না।
* সন্তান বড় করার সময় অনেকে অনেকরকম উপদেশ দেবেন। শারীরিক সমস্যা নিয়ে নানা পরামর্শ দেবেন। তবে তাতে কান দেবেন না। পরিবর্তে চিকিৎসকের কথামতো চলুন। নইলে খুদের শারীরিক সমস্যা বাড়বে বই, কমবে না।
* অনেকেই সন্তানকে বড় করতে গিয়ে নিজের কথা ভুলে যান। তা করবেন না। নিজের প্রয়োজন আগে পূরণ করুন। তারপর সন্তানের যত্ন নিন। নইলে একদিন নিজেই নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে যাবেন। জন্ম নেবে অবসাদ।
* বেশিরভাগ বাবা-মা নিজের সন্তানকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করেন। তার ফলে সন্তানেরা হীনমন্যতায় ভোগে। তাই ভুলেও খুদেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন, সব শিশুই নিজের মতো করে সেরা।
* অনেকেই নিজের সন্তানের জন্য কেনাকাটি করতে ভালোবাসেন। কেনাকাটি করুন, তা বলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নয়। তাতে একদিকে যেমন অযথা আপনার অর্থব্যয় হবে, তেমনই আবার খুদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস পেতে পেতে বদভ্যাস তৈরি হবে।
* বহু সদ্য বাবা-মা সন্তানকে নিয়ে বুঁদ হয়ে যান। তার ফলে অন্য সম্পর্কগুলি ভুলতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে একসময় একা হয়ে যান সেইসব অভিভাবকরা। তাই একটা সম্পর্কের জন্য অন্য সম্পর্কগুলিকে ভুলে যাবেন না। পরিবর্তে সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
* অনেকে সন্তানকে একেবারে একা বড় করতে চান। তাঁরা ভাবেন, সাহায্য নিলেই হয়তো অভিভাবককে দুর্বল বলে মনে হবে। মনে রাখবেন, সন্তানকে বড় করে তোলা দলবদ্ধ কাজ। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্য, প্রতিবেশী প্রয়োজনে পরিচারিকার সাহায্য নিন।
* ছোট ছোট মুহূর্ত উপভোগ করতে ভুলে যাচ্ছেন অনেকেই। আপনি সেই ভুল করবেন না। পরিবর্তে খুদের সঙ্গে প্রতিদিন অল্প সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। তাতে তার ভালো স্মৃতি তৈরি হবে।
* জীবনে ওঠা পড়া থাকবে। তা নিয়ে ভেঙে পড়বেন না। তাতে খুদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠবে। তার চেয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন। মনে রাখুন কঠিন সময় একদিন না একদিন ঠিক কেটে যাবে।
