শেখর চন্দ, আসানসোল: গত সপ্তাহে নিম্নচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছিল বাংলা। ফুঁসছিল নদী। জলস্তর বাড়ায় জল ছাড়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। আর তার ফলে প্লাবিত হুগলির (Hooghly) বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জল ছাড়া বন্ধ রাখল ডিভিসি মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম। হাইড্রলিক অপারেশনের জন্য যেটুকু জল ছাড়তে হয়, সেটুকুই ছাড়া হচ্ছে বলে জানাল DVC কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, এখন ১৫ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছে দুটি ড্যামে। অর্থাৎ মোট ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। দুটি ড্যামেই একটি করে লক গেট খোলা হয়েছে। এই মুহূর্তে ৪৯০ ফুট জল রয়েছে মাইথনে। পাঞ্চেতে রয়েছে ৪২৩ ফুট। নতুন করে বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে জলস্তরও বাড়েনি। মাইথন পাঞ্চেত-সহ ঝাড়খণ্ডের মালভূম অঞ্চলে শুষ্ক আবহওয়া ও ঝলমলে রোদ থাকায় আপাতত স্বস্তি দামোদর উপত্যকা এলাকায়। শুক্রবার দেখা যায় মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম জলে কানায় কানায় পূর্ণ রয়েছে। মাইথন ড্যাম সংলগ্ন বাথানবাড়ি সিধাবাড়ি বৃন্দাবনী গ্রামের কাছাকাছি জল পৌঁছে গিয়েছে। আশঙ্কা ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই জল ছাড়ার পরিমান বাড়াতে হবে ডিভিসিকে। তখন ফের বানভাসি হতে পারে দামোদর নিম্ন উপত্যকা এলাকা।
[আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ধর্ষণ নিয়ে ‘ভুয়ো’ টুইটে বিপাকে Agnimitra, থানায় হাজিরা BJP বিধায়কের]
এদিন আরামবাগ খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসিকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না (Becharam Manna)। তিনি আসানসোলে গিয়েছিলেন শ্রম দপ্তরের রিভিউ মিটিংয়ে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রানের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। তিনি সরাসরি ডিভিসির ঘাড়ে দায় চাপান। শ্রমমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণ নিয়ে যে রাজনৈতিক দল অভিযোগ করছে, দিল্লিতে তাদেরই সরকার চলছে। কেন্দ্রেরই নিয়ন্ত্রিত ডিভিসি জল ছাড়াটা কমাক। ধাপে ধাপে জল ছাড়ুক ও আমাদের জানিয়ে জল ছাড়ুক। নিশ্চিতভাবে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া বন্ধ হলেই আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব।”