সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে ঈশ্বরের ডাক এলে তবেই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন সম্ভব। অর্থাৎ বিশেষ উৎসব পরবে ভক্তরা শিবপুজো করলেও জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনের সৌভাগ্য সকলের হয় না। আর সেই সুযোগ হলে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। এ দেশের প্রায় প্রতি প্রান্তেই রয়েছে প্রাচীন শিবলিঙ্গ। তবে জ্যোতির্লিঙ্গের মাহাত্ম আলাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশের কোন কোন শহরে রয়েছে জ্যোতির্লিঙ্গ। শিবলিঙ্গের সঙ্গে এর পার্থক্যই বা কী।
শিবলিঙ্গকে শিবের প্রতীক মেনে পুজো করা হয়। শিবলিঙ্গ (Shivlinga) হল শিব ও পার্বতীর আদি-অনাদি একক রূপ। স্ত্রী বা পুরুষ একক ভাবে সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। শাস্ত্র মতে, শিবলিঙ্গ মানব নির্মিত। এর অর্থ হল অনন্ত।
[আরও পড়ুন: ল্যাথামের দুরন্ত সেঞ্চুরি, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হার ভারতের]
অন্যদিকে জ্যোতির্লিঙ্গ (Jyotirlinga) হল শিবের স্বয়ম্ভূ অবতার। অর্থাৎ শিবের জ্যোতি রূপে প্রকট হওয়া। কোনও মানুষ তা তৈরি করেনি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যেখানে যেখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে, সেখানে স্বয়ং মহাদেব এক আলোকরশ্মি রূপে প্রকট হয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। দেশের ১২টি শহরে থাকা ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের কারণে পৃথিবীর ভিত্তি বজায় রয়েছে। এই জন্যই বিশ্ব এখনও গতিশীল। পুরাণে কথিত আছে, একবার ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। দুই দেবই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে পড়েন। তাঁদের ভ্রম দূর করতে আলোকরশ্মির স্তম্ভ রূপে প্রকট হন দেবাদীদেব। এর কোনও সূচনা বা সমাপ্তি ছিল না। এই রশ্মি স্তম্ভকেই জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের স্থান:-
১. সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ। গির, গুজরাট।
২. মল্লিকার্জুন জ্যোতিলিঙ্গ। শ্রীসইলাম, অন্ধ্রপ্রদেশ।
৩. মহাকালাশ্বের জ্যোতির্লিঙ্গ। উজ্জয়িনী, মধ্যপ্রদেশ।
৪. ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। খণ্ডওয়া, মধ্যপ্রদেশ।
৫. বৈদ্য়নাথ জ্যোতির্লিঙ্গ। দেওঘর, ঝাড়খণ্ড।
৬. ভীমাশংকর জ্যোতির্লিঙ্গ। মহারাষ্ট্র।
৭. রামনাথস্বামী জ্যোতির্লিঙ্গ। রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু।
৮. নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। দ্বারকা, গুজরাট।
৯. কাশী বিশ্বনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ। বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ।
১০. ত্রিম্বাকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। নাসিক, মহারাষ্ট্র।
১১. ঘৃশ্নেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। ঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র।
১২. কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ। রুদ্রপ্রয়াগ, উত্তরাখণ্ড।