সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ সওদাগর পর্ব থেকে শুরু মধ্যযুগীয় আর্য-অনার্য দেবতার আখ্যান। সর্বত্র ছড়িয়ে আছে দেবী মনসার কথা। বর্ষার সর্পভীতি আবার নতুন ফসলের আহ্বান, একাধিক ক্ষেত্রে মনসার (Manasa Puja 2023) আরাধনা নিয়ে প্রচলিত ভিন্ন ভিন্ন কথাকতা।
পুরাণে বলা হয়, মনসা (Manasa Devi) আসলে লৌকিক দেবী। আর তাঁর গুরুত্ব রয়েছে সাপের কামড়ের সঙ্গে। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতেই মূলত পুজো করা হয় এই দেবীকে। আবার সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে তো বটেই মনসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে, প্রজনন ও ধনদৌলতের প্রসঙ্গও।
[আরও পড়ুন: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবার পুণ্যলাভ করতে চান? এই কাজটি করলেই সন্তুষ্ট হবেন মহাদেব]
এখানেই জড়িয়ে আছে এই দেবীর পুজোর কারণ। কেউ কেউ বলরেন, সাপ যৌনতা আবার প্রজননের প্রতীক। আবার সাধনার প্রতীকও হিসেবেও কোথাও কোথাও বর্ণিত এই প্রাণীটি। সেই সাপের দেবী মনসা শুধুমাত্র সর্পবিপদের হাত থেকে রক্ষা করবেন, এই কারণেই পুজো পান না! তাঁর আরাধনায় লুকিয়ে থাকে এই বিষয়টিও। সব মিলিয়ে নানা কারণেই পূজিতা হন দেবী মনসা।
[আরও পড়ুন:শনির অভিশাপে জর্জরিত জীবন? আপনার হাতের কাছেই আছে বিনা খরচে সমাধান]
শ্রাবণের শেষদিন অর্থাৎ শ্রাবণ সংক্রান্তি বা আষাঢ়ী পঞ্চমী তিথিতে নাগপঞ্চমীর পুজো হয়। তাল থেকে শুরু করে সাবু, দুধ, কলা – একাধিক উপাচারে পূজিত হন দেবী মনসা। মনসা দেবী ইচ্ছাধারী বলেও অভিহিত হন। আবার কামরূপা নামেও ডাকা হয় তাঁকে। কোথাও কোথাও দেবী মনসা অর্থাৎ পদ্মা শিবের সন্তান আবার মহাদেবের স্ত্রী হিসাবেও বর্ণিত হন। সাধারণত, মনসামঙ্গলের আধারেই মনসার মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়েছে দিকে দিকে। দেবী মনসা ইচ্ছানুযায়ী রূপধারণ ও রূপপরিবর্তনও করতে পারেন।