সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিবভক্তি। জীবনের ধর্ম বিশ্বাসের গাত্রে গাত্রে ছড়িয়ে আছে একথাই। প্রত্যেক মুহূর্তে মহাদেবের সেবায় এক মন্ত্রেই ব্রতী হন কোটি কোটি ভক্ত। শান্তি, সমৃদ্ধি আর বিপদ মুক্তিতে বারবার উঠে আসে শিবকথা (Shiva)।
আর এখানেই গুরুত্ব পায় শ্রাবণ মাস (Sawan Somvar)। পুরাণে বলা হয়, শ্রাবণ মাস হল শিবের মাস। এই সময় দেবাদিদেবের আরাধনা সবচেয়ে কার্যকরি। অর্থাৎ এই মাস জুড়ে শিবের বিশেষ নিয়মে পুজো করলেই মেলে মুক্তি।
[আরও পড়ুন: শুধুই সর্পভীতি! আসলে মনসা দেবীর পূজার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ, জানেন কী]
কেন? এখানেই উঠে আসে শ্রাবণী সোমের কথা। দেবতা সোমনাথের আবির্ভাবের দিন এই সোমবার। যেদিন সোমনাথ অর্থাৎ শিবকে তুষ্ট করতে পারলেই অসাধ্য সাধন ঘটতে পারে মুহূর্তেই।
শেষ সোমবারের গুরুত্ব
পুরাণে বলা হয় পিতৃপক্ষের শেষপর্বে শিব ঠাকুরের আপন দেশে ভীষণ কাজের এই শেষ সোমবার। এই দিন মহাদেবের আরাধনার ফলে সংসারে সুখ আসে। রোগ বালাই দূর হয় মুহূর্তেই।
কী করতে হবে?
সকাল ছেড়ে সন্ধেয় শিবলিঙ্গের সামনে ঘি দিয়ে জ্বালাতে হবে প্রদীপ। সঙ্গে ত্রিপত্র বেলপাতা, দুধ, গঙ্গাজলে অভিষেক করতে হবে মহাদেবকে। ধুপ, দীপ আর ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রে শিবের ধ্যান করতে হবে এক মনে। যেন তিনি সহায় হন রোজ। আপদে, বিপদে পাশে থাকেন নিরন্তর।
[আরও পড়ুন: অবহেলা, বঞ্চনা থেকে পুজো! দেবী মনসার পুরাণকথায় ছড়িয়ে আছে একাধিক গল্প]
এই বিশেষ আরাধনার ফল কিন্তু বিরাট। পুরাণবিদেরা বলেন, এই বিশেষ আরাধনার ফলেই ঘটতে পারে মিরাকল!